পৃথিবীর সেরা কোচ থাকলেও…

0
568

বাংলা খবর ডেস্ক:
ভুল ধরিয়ে দেওয়ার জন্য কোচরা আছেন। নতুন কিছুর শিক্ষাও ক্রিকেটাররা পান তাঁদের কাছ থেকেই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোচরা তো আর মাঠে নেমে খেলে দিতে পারেন না। বরং মাঠের পরিস্থিতি বুঝে সেই অনুযায়ী নিজেদের মেলে ধরার দায় পুরোপুরি খেলোয়াড়দেরই। নিউজিল্যান্ডের কাছে ওয়ানডে সিরিজে বিধ্বস্ত হওয়ার পর যেটি স্বীকারে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করলেন না তামিম ইকবালও। ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে ১৬৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হারের পর বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক বলছিলেন, ‘শেখার জন্য পৃথিবীর সেরা কোচকে আপনি পেতে পারেন। তবে দিনের শেষে খেলোয়াড়দেরই বুঝতে হবে যে, কখন কী করতে হবে বা কী করা যাবে না।’

দেশের বাইরে গেলেই পরিস্থিতির দাবি না বুঝে তাঁরা তালগোল পাকিয়ে ফেলেন বলেও মনে করেন এই বাঁহাতি ওপেনার, ‘সমস্যাটি মূলত বিদেশের মাটিতেই হয়। দেশের বাইরে আমরা ধারাবাহিক নই।’ যদিও তিন ম্যাচের সিরিজের ভুলের পুনরাবৃত্তির ধারাবাহিকতা ঠিকই ছিল বাংলাদেশের। kalerkanthoডানেডিনে ব্যাটিংয়ের প্রথম ১০ ওভারই সফরকারীদের গন্তব্য ঠিক করে দিয়েছিল। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৭১ রান করা গিয়েছিল বলেই শেষ ম্যাচের ব্যর্থতা আরো বেশি করে পোড়াচ্ছে তামিমকে, ‘প্রথম ম্যাচ থেকে দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা বেশ ভালো শিক্ষাই নিয়েছিলাম। জানতাম যে (ব্যাটিংয়ের) প্রথম ১০ ওভারে আমরা বেশ কঠিন কিছুরই সম্মুখীন হব। তবে যখন আপনি প্রথম ১০ ওভারেই (৭ ওভারে ৩ উইকেট) তিন-চার উইকেট হারিয়ে ফেলবেন, তখন বুঝতে হবে খেলাটি সেখানেই অর্ধেক শেষ, যা আমরা দ্বিতীয় ম্যাচে হতে দেইনি। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে আমরা একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করলাম।’

এই সিরিজে অন্তত একটি ম্যাচ জেতার লক্ষ্যের কথা সেই শুরু থেকেই বলে আসছিলেন তামিম। তা আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগ নামের ২০২৩ বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের কথা ভেবেও। একটি ম্যাচ জিতলেই যে ১০ পয়েন্ট। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে একটু এগিয়ে না থাকতে পারার হতাশাও মিশে থাকল ওয়ানডে অধিনায়কের কথায়, ‘দলগত বা ব্যক্তিগতভাবে—কোনোভাবেই আমরা ধারাবাহিক নই। আমি মনে করি এটাই ইস্যু এবং এখান থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে হবে। আমরা এখানে উন্নতি করতে আসিনি, এসেছিলাম ম্যাচ জিততে। এটি শুধুমাত্র কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজ নয় যে এখানে আপনি এসব নিয়ে ভাববেন। এখানে জিতলে আপনি পয়েন্ট পেতেন, যা আপনাকে বাছাই পর্ব উতরাতে সাহায্য করবে। আমরা সত্যিই খুব হতাশাজনক ক্রিকেট খেলেছি।’ তামিম নিজে ব্যাটসম্যান, সবার হয়ে ব্যর্থতার দায়-দায়িত্ব নিলেন তিনি। ব্যাটসম্যানদের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বললেন, ‘একটা বা দুটো বাদে যেভাবে আজ আমরা আউট হয়েছি, এর সবগুলোই সফট ডিসমিসাল ছিল। আমরা জানি যে নতুন বল শুরুর দিকে কিছু একটা করবে। তাই আমাদের একটিই কাজ ছিল। তা হলো উইকেটে টিকে থাকা। উদাহরণ আমরা দ্বিতীয় ম্যাচেই দেখেছি। যেখানে আমরা প্রথম ১০ ওভারে ২৫ বা ২৬ রান (১ উইকেটে ২৬) করেছিলাম। পরের ২০ ওভারে আমরা তা পুষিয়েও নিয়েছিলাম। শুরু করাটা কঠিন হলেও নিউজিল্যান্ডের উইকেট ধীরে ধীরে (ব্যাটিংয়ের জন্য) স্বাভাবিক হয়ে যায়। আমরা নিজেদের সেই সুযোগ ব্যবহারের সময় দেইনি। এবং এর দায়ভারও আমাদেরই নিতে হবে। এখান থেকে আমাদের ক্রিকেট কোথায় যায়, তা দেখতে হবে।’ সেই সঙ্গে ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তাও ফুটে উঠেছে তামিমের কথায়, ‘যদি এভাবেই খেলতে থাকি, তাহলে আমরা খানিকটা দূরে (দলের পিছিয়ে যাওয়া বুঝিয়ে) চলে যাব।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here