হেফাজতকে উস্কানি দিয়েছে সরকার: ফখরুল

0
548
ফাইল ছবি

বাংলা খবর ডেস্ক:
হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে বিএনপির কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, সরকারের নেতা, মন্ত্রী এবং অনেক মিডিয়ায় প্রচার করা হয়েছে হেফাজতি তাণ্ডব। হেফাজতের এই তাণ্ডবে বিএনপি ইন্ধন দিয়েছে, তাদেরকে কর্মসূচি পালনে সমর্থন দিয়েছে। আমি স্পষ্ট বলতে চাই, হেফাজতের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর দিনে অবৈধ সরকারের পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে মানুষের হত্যার প্রতিবাদে গতকাল ও আজ আমরা কর্মসূচি পালন করেছি। মঙ্গলবার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন।

হেফাজতের কর্মসূচিকে সমর্থন করে বিএনপি প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেনি দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই যে মানুষের উপর আঘাত এসেছে, আমরা তার প্রতিবাদ করেছি। আমাদের হিসেবে গত কয়েকদিনে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় ১৫ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার প্রচার চালাচ্ছে আমরা হেফাজতকে সমর্থন ও উস্কানি দিয়েছি। হেফাজতকে উস্কানি তো দিয়েছে সরকার।
হেফাজত কোনও রাজনৈতিক সংগঠন নয়। তারা বায়তুল মোকাররমে সাধারণ একটি বিক্ষোভ করতে চেয়েছিলো। কিন্তু আওয়ামী লীগ ও পুলিশ তাদের উপর দুই দিক থেকে হামলা চালিয়েছে। হেফাজতের কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের এক নেতা গুলি করছে, সেই ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশও হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সরকারের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার ১৮ দফা নির্দেশনা দিয়েছে, কিন্তু বাস্তবায়নের কোনও লক্ষণ দেখছি না। সরকারের উদ্যোগটা কোথায়? সরকারের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ থাকবে, সেটি কোথায়?

করোনা এই পরিস্থিতিতে বিএনপির কর্মসূচি পালন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তীর কর্মসূচি তো আগেই স্থগিত করেছি। বর্তমানে সাধারণ মানুষের উপর হামলার কারণে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে বাধ্য হয়েছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, আমাদের অনেক নেতা কর্মী আক্রান্ত হয়েছে। অল্প বয়সীরাও আক্রান্ত হচ্ছে। ঠিক মতো করোনার টেষ্ট হচ্ছে না। আমার ধারণা ১০ শতাংশও করোনা টেষ্ট হচ্ছে না। সরকার কখনই করোনার বিষয়টি সঠিকভাবে উপলব্ধি করেনি। সুবর্ণ জয়ন্তীর যে উৎসব তার আগেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সতর্ক করা হয়েছিলো, অবিলম্বে এসব অনুষ্ঠান বন্ধ করা দরকার। কিন্তু সরকার গত বছর মার্চেও উৎসব পালন বন্ধ করেনি, এবারও তারা উৎসব পালন বন্ধ করেনি। যখন তাদের বিদেশি মেহমান ও মহারথিরা চলে গেছে তখন করোনার বিষয়টি আবারও সামনে এনেছে তারা।

গত দুই দিন বিএনপির কর্মসূতিতে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের লোকজন হামলার করেছে বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, এসব হামলায় আহত ও গ্রেপ্তার করার নিন্দা জানাচ্ছি। তাদের মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ও মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here