দেশে জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন পেল স্পুটনিক ভি

0
92

বাংলা খবর ডেস্ক:
চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় দেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক ভি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জরুরি জনস্বাস্থ্য ক্ষেত্রের ওষুধ, পরীক্ষামূলক ওষুধ, টিকা ও মেডিক্যাল সরঞ্জামবিষয়ক কমিটি এই অনুমোদন দিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ঔষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক সভায় টিকা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়ার এই টিকা আমদানি ও ব্যবহারে আইনি বাধা দূর হলো।

সরকারি নথিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, কিনতে চাইলে রাশিয়া বাংলাদেশকে আগামী মাস অর্থাৎ মে থেকেই টিকা দিতে পারবে।

এর আগে আজ রাশিয়ার করোনা টিকা ‘স্পুটনিক ভি’ বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের টেকনিক্যাল কমিটি এ সুপারিশ করে।

তারও আগে চীনের সিনোফার্ম এবং রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন কেনার জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল কভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রাপ্তির উৎস ও সংগ্রহসংক্রান্ত কোর কমিটির পক্ষ থেকে। গতকাল সোমবার (২৬ এপ্রিল) কমিটি তাদের এ সুপারিশ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল বলে জানায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

গত শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছিলেন, রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি দেশেই উৎপাদনের জন্য মস্কো-ঢাকা সম্মত হয়েছে। চলছে চীনা ভ্যাকসিন আনার আলাপ-আলোচনাও। তিনি বলেছিলেন, দেশে টিকা উৎপাদন করতে রাশিয়ার প্রস্তাবে আমরা একমত হয়েছি। কারণ আমরা সেটা তৃতীয় দেশেও বিক্রি করতে পারব।

গত বছরের ১১ আগস্ট রাশিয়া উদ্ভাবিত করোনার টিকা স্পুটনিক ভি’র অনুমোদন দেয় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার গামেলিয়া ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার ও রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের তৈরি স্পুটনিক ভি নামের এই টিকাটি গত ৮ সেপ্টেম্বর সে দেশের নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।

বিশ্বের ৬০টি দেশ এ পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজনে এ টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। করোনার বিরুদ্ধে স্পুটনিক ভি এর কার্যকারিতা ৯৫ শতাংশ বলে জানিয়েছে গামালিয়া।

টিকা পেতে ৩ দেশের সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ওদিকে ভারতের ভ্যাকসিন অনিশ্চয়তায় চীন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় মহাখালীর বিসিপিএস প্রাঙ্গণে ‘ভ্যাকসিন ইস্যু ও সমসাময়িক নানা বিষয়াদি’ নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে থাকা প্রতিটি করোনারোগীর জন্য সরকারের ব্যয় হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। আর একজন সাধারণ রোগীর জন্য ব্যয় হচ্ছে ১৫ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, ঢাকায় করোনারোগীর জন্য আড়াই হাজার বেড ছিল। এখন সাত হাজার বেড আছে। এটা আমরা রাতারাতি করতে সক্ষম হয়েছি। প্রতিটি হাসপাতালেই করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। টিবি হাসপাতাল, গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটেও করোনা চিকিৎসা হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here