দূরপাল্লার বাসের পাশাপাশি চলছে ট্রেন-লঞ্চও

0
54
ছবি:সংগৃহীত

বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
করোনা সংক্রমণ রোধে ৪৯ দিন বন্ধ থাকার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন খালি রেখে সোমবার থেকে চলছে দূরপাল্লার বাস, যাত্রাবাহী ট্রেন ও লঞ্চ। এ ক্ষেত্রে ট্রেন আগের ভাড়াতেই চলছে। তবে বাস ও লঞ্চে যাত্রীদের ৬০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে। আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট স্টেশনের কাউন্টারে নয়, পাওয়া যাচ্ছে শুধু অনলাইনে।

রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়েছে, সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের সব বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতায় নতুন শর্ত যুক্ত করে এর মেয়াদ ২৩ মে মধ্যরাত থেকে ৩০ মে মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হলো। নতুন শর্তে বলা হয়েছে, আন্তঃজেলা বাসসহ সব ধরনের গণপরিবহন আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। অবশ্যই যাত্রীসহ সবাইকে মাস্ক পরার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।

গত ৫ এপ্রিল লকডাউন জারিতে গণপরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। একপর্যায়ে ঈদের আগে জেলার অভ্যন্তরে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস ও অন্যান্য যাত্রীবাহী যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলেও দূরপাল্লার বাস, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি সাংগঠনিক চিঠিতে সব জেলার বাস মালিকদের নির্দেশনা দিয়েছে, অর্ধেক আসন খালি রাখায় ৬০ শতাংশ বেশি ভাড়া নেওয়া যাবে। সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ স্বাক্ষরিত এ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস চালাতে হবে। মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রী ওঠানো যাবে না। বাস টার্মিনাল ও টিকিট কাউন্টারে সামাজিক দূরত্ব মানতে হবে। যাত্রার আগে-পরে বাস জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।

করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বাসে অর্ধেক আসন খালি রাখার শর্তে গত ৩০ মার্চ বাসের ভাড়া ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির অনুমতি দেয় সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। এ হিসাবে ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের ৪০ আসনের বাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়া ২১৫ টাকা বেড়ে হবে যাত্রীপ্রতি ৩৫০ টাকা। অন্যান্য রুটেও একই হারে ভাড়া বাড়বে। সরকার রোববার অনুমতি দিলেও ঈদের আগে থেকেই রাতে চাঁদা দিয়ে দূরপাল্লার বাস সব আসনে যাত্রী বোঝাই করে চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত বছরও লকডাউনে ২৪ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত ৬৮ দিন ট্রেন বন্ধ ছিল। এরপর অর্ধেক আসন খালি রেখে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। আন্তঃনগরের সব ট্রেন আসন পূর্ণ করে যাত্রী নিয়ে চলাচল শুরু করে গত সেপ্টেম্বরে। তবে প্রায় ৯০টি মেইল ও লোকাল ট্রেন গত বছরের মার্চ থেকেই বন্ধ রয়েছে। দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন বন্ধ রয়েছে আন্তঃনগরে।

ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল করছে। অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, অর্ধেক আসন খালি রাখায় ৬০ ভাগ বাড়তি ভাড়া দিতে হবে যাত্রীদের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here