বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
অবশেষে বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্ট হাতে পেলেন নাইজেরিয়ান নাগরিকত্ব ত্যাগ করা ফুটবলার এলিটা কিংসলে। গতকাল তিনি দশ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট গ্রহণ করেন। লাল-সবুজ পাসপোর্ট হাতে এই ফুটবলার বলেন, ‘আমি একজন ফুটবলার, সব সময় খেলতে চাই। জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের জন্য খেলতে পারছিলাম না। এখন আমি ফুটবল খেলার জন্য মুক্ত ও বৈধ। আর কোনো বাধা নেই। আমি শিগগিরই মাঠে নেমে ক্লাব ও বাংলাদেশ দলের হয়ে গোল করতে চাই ও জেতাতে চাই’।
ক্রীড়াঙ্গনে তৃতীয় বিদেশি নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশি পাসপোর্ট পেলেন কিংসলে।
এর আগে ১৯৭৮ সালে মার্কিন বক্সার মোহাম্মদ আলী এবং ১৯৯৭ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজকে সম্মানসূচক নাগরিকত্ব দেয় বাংলাদেশ সরকার। প্রথম দু’জন সম্মানসূচক নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট পান। কিংসলে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। নিজ দেশ নাইজেরিয়ার নাগরিকত্ব ত্যাগ করে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব গ্রহণ করে লাল-সবুজ পাসপোর্টধারী হলেন এই ফুটবলার।
২০১১ সালে আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ দিয়ে এই দেশের প্রিমিয়ার লীগে খেলা শুরু কিংসলের। আরামবাগের পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র, বিজেএমসি হয়ে বাতিল হওয়া মৌসুমে আরামবাগের হয়েই খেলেন ৩১ বছর বয়সী স্ট্রাইকার। করোনার কারণে লীগ বাতিল হওয়ার আগে আরামবাগের মতো খর্বশক্তির দলে খেলেও ৫ ম্যাচে ৫ গোল করে তিনিই ছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। চলতি মৌসুমে সেকেন্ড লেগে কিংসলেকে দলে ভিড়িয়েছে বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ায় লীগে মাঠে নামতে পারেননি এই ফুটবলার। অবশেষে সেই পাসপোর্ট হাতে পেয়ে কিংসলে বলেন, ‘অবশেষে স্বপ্ন সত্যি হলো। এখন আমি বাংলাদেশকে কিছু দিতে চাই।’ এলিটা কিংসলে বাংলাদেশে ফুটবল খেলছেন প্রায় দশ বছরের বেশি। এরমধ্যে ২০১২ সালে এই দেশেরই মেয়ে লিজাকে বিয়ে করে বাংলাদেশে স্থায়ী হয়েছেন। বর্তমানে এই দম্পতির একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তার বাংলাদেশের নাগরিক হওয়ার চেষ্টা। মার্চে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব সনদ পেয়েছিলেন এলিটা কিংসলে। লকডাউনের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র পেতে তার দেরি হয়। জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট-জন্মনিবন্ধন না থাকায় বসুন্ধরা কিংসের হয়ে দ্বিতীয় লেগের শুরু থেকে নামতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড। এবার পাসপোর্ট হাতে পাওয়ায় ঘরোয়া লীগে খেলতে তার বাধা নেই। বসুন্ধরার হয়ে এএফসি কাপেও খেলতে পারবেন কিংসলে।