বাংলাদেশসহ মোট ৪ দেশের অভিবাসী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে কমপক্ষে ৪৩ জন মারা গেছেন। তিউনিশিয়া উপকূলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে খবর দিচ্ছে অনলাইন দ্য গার্ডিয়ান। এতে বলা হয়, বোটডুবির পর উদ্ধার করা হয়েছে ৮৪ জনকে। মৃত ও উদ্ধার করা ব্যক্তিদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি তা জানা যায়নি। বলা হয়েছে, এসব অভিবাসীকে নিয়ে একটি বোট লিবিয়া থেকে ইতালির উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে তারা তিউনিশিয়া উপকূলে পৌঁছার পর বোটটি ডুবে যায় বলে নিশ্চিত করেছে তিউনিশিয়ান রেড ক্রিসেন্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বোটটি লিবিয়ার উত্তর-পশ্চিম উপকূলের জুওয়ারা থেকে যাত্রা শুরু করে। এতে বাংলাদেশ, মিশর, সুদান ও ইরিত্রিয়ার অভিবাসীরা ছিলেন।
কয়েক মাসে তিউনিশিয়া উপকূলে বোটডুবির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ, তিউনিশিয়া ও লিবিয়া থেকে ইউরোপে, বিশেষ করে ইতালিমুখী মানুষের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব অভিবাসী অবৈধ উপায়ে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইতালি পৌঁছার চেষ্টা করে উন্নত জীবনের আশায়। রেড ক্রিসেন্টের কর্মকর্তা মোঙ্গি স্লিম বলেন, নৌবাহিনী উদ্ধার করেছে ৮৪ জনকে। অন্য ৪৩ জন পানিতে ডুবে গিয়েছে। কয়েক বছরে এই রুটে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র পাড়ি দেয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। হাজার হাজার মানুষ এই পথে ইউরোপে পৌঁছার চেষ্টা করেছে। তার মধ্যে বহু মানুষ পানিতে ডুবে মারা গেছে। আবার এরই মধ্যে এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, লিবিয়ার কোস্টগার্ডরা বোটের এসব মানুষকে গুলি করে অথবা তাদের বোটকে ডুবিয়ে দেয়। এমন ভিডিও সহ রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে।