বাংলা খবর ডেস্ক:
আনুষ্ঠানিকভাবে বিলিয়নিয়ারের তালিকায় নাম উঠিয়েছেন পপতারকা রিহানা। একইসঙ্গে দখল করে নিয়েছেন বিশ্বের শীর্ষ ধনী নারী সংগীতশিল্পীর স্থান। যদিও তার এই বিশাল সম্পদের পেছনে তার বিশ্বখ্যাত গানের চেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে তার প্রসাধনী প্রতিষ্ঠান ফেন্টি বিউটি। গত বুধবার ফোর্বস ম্যাগাজিন জানিয়েছে, বর্তমানে তার আনুমানিক সম্পদের আর্থিক মূল্য ১৭০ কোটি ডলারের বেশি। এ খবর দিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
খবরে বলা হয়, রিহানার আসল নাম রবিন ফেন্টি (৩৩)। ২০১৭ সালে ফরাসি প্রসাধনী প্রতিষ্ঠান এলভিএমএইচ-এর সঙ্গে যৌথভাবে মিলে ফেন্টি বিউটি চালু করেন তিনি। বলেছিলেন, বিদ্যমান ব্র্যান্ডগুলো সকল প্রকারের ও রঙের ত্বকের জন্য যথাসাধ্য পরিমাণের পণ্য সরবরাহ করছে না। তাই নিজেই এ কাজে নেমেছেন তিনি।
‘ত্বককে ত্বকের মতো দেখাতে’ ৪০টি ভিন্ন ভিন্ন ‘শেড’-এর ফাউন্ডেশন নিয়ে যাত্রা শুরু করে তার প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে সে তালিকায় যোগ হয়েছে আরো ১০টি শেড। প্রতিষ্টানটির ৫০ শতাংশের মালিকানা তার।
যাত্রা শুরুর প্রথম বছরে ফেন্টি বিউটি ৫৫ কোটি ডলারের পণ্য বিক্রি করে। ফোর্বস অনুসারে, প্রতিষ্ঠানটির আনুমানিক মূল্য এখন কম করে হলেও ২৮০ কোটি ডলার।
ফেন্টি বিউটির পাশাপাশি অন্তর্বাস প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সাভেজ এক্স ফেন্টি’তে তার ৩০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে। এই দুই প্রতিষ্ঠান ও ১৬ বছর দীর্ঘ পপতারকা ক্যারিয়ারে আয় করা অর্থ মিলিয়ে তার মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৭০ কোটি ডলারের বেশি। অর্থাৎ, বর্তমানে বিশ্বের মধ্যে শীর্ষ দ্বিতীয় ধনী নারী বিনোদন তারকা হয়ে উঠেছেন তিনি। এ তালিকায় তার আগে, ২৭০ কোটি ডলার সমমূল্যের সম্পদ নিয়ে প্রথম স্থান দখল করে আছেন অপরা উইনফ্রে। তবে নারী সংগীতশিল্পী হিসেবে শীর্ষ ধনীর স্থান এখন রিহানার।
এলভিএমএইচ এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী বার্নার্ড আরনল্ট -বিশ্বের শীর্ষ তৃতীয় ধনী ব্যক্তি – রিহানার নতুন অর্জন নিয়ে বলেন, সবাই রিহানাকে চমৎকার একজন সংগীতশিল্পী হিসেবে চেনে। কিন্তু ফেন্টি বিউটিতে একসাথে কাজ করায় আমি তাকে একজন সত্যিকারের উদ্যোক্তা, প্রধান নির্বাহী ও অসাধারণ একজন নেতা হিসেবে দেখেছি।
প্রসাধনী পণ্য বিষয়ক পরামর্শদাতা সংস্থা ব্লুস্টক এডভাইজরস-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা শ্যানন কয়েন বলেন, অনেক নারীই মনে করেন তাদের ত্বকের জন্য বাজারে যুতসই কোনো প্রসাধনী নেই। কিন্তু আমরা সবাই জানি তা সত্য নয়। ফেন্টি বিউটি ছিল একবারে প্রথম দিককার ব্র্যান্ডগুলোর একটি যারা এসে বলেছে: আমরা সব ধরণের মানুষের জন্য পণ্য দিতে চাই।
প্রসঙ্গত, রিহানার আগেও একাধিক তারকা প্রসাধনী সাম্রাজ্য দিয়ে বিলিয়নিয়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছেন। আইফোন ব্যবহার করে নিজের প্রসাধনী প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে, ২০১৯ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে বিশ্বের কনিষ্ঠতম বিলিয়নিয়ার হয়ে উঠেন মার্কিন টিভি তারকা কাইলি জেনার।