বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
মাদকদ্রব্য আইনে করা মামলায় ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে ফের দুদিন করে রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন। আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার মাদকের মামলায় চারদিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে একই মামলায় আবারও পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড আদেশ দেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার পরীমনি ও রাজকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাতদিন করে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে
উল্লেখ্য, বুধবার বিকালে পরীমনির বনানীর বাসায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযানে যান র্যাবের গোয়েন্দা দলের সদস্যরা। প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে রাত ৮টার দিকে তাকে আটক করে র্যাব সদরদফতরে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করার কথা জানায় র্যাব।এ ঘটনায় পরের দিন পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে র্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।
এরপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান শুরু করে র্যাব। পরীমনিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্যে র্যাব ওই অভিযানে যায় বলে জানায়। প্রায় দুই ঘণ্টার অভিযান শেষে রাজকে বনানীর বাসা থেকে আটক করে রাত ১০টা ১৫ মিনিটের দিকে নিয়ে যান র্যাব সদস্যরা। রাজের বাসা থেকেও মাদক এবং পর্নোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের কথা জানায় র্যাব।এ ঘটনায় রাজের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইন ও পর্নোগ্রাফি আইনে পৃথক দুইটি মামলা করে র্যাব।
কাঠগড়ায় অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় পরীমনিকে
ওদিকে দুপুরে রিমান্ড শুনানিতে কাঠগড়ায় আনা হলে অঝোরে কাঁদতে দেখা যায় পরীমনিকে।
এ সময় পরীমনিকে দেখতে আদালতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। রিমান্ড শুনানিকালে পরীমনিকে দেখতে এজলাসে ভিড় করেন আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এ সময় আদালতের এক কর্মচারী পরীমনির ছবি তুলতে গেলে পুলিশ, আইনজীবী ও উপস্থিত অন্যদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবশ্য পরিস্থিতি শান্ত হয়।
পরে রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় চিৎকার করেন পরীমনি। এ সময় তিনি বলতে থাকেন, ‘আমি নির্দোষ, আমাকে ইচ্ছা করে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’
এরপরই আদালতের গারদখানায় নিয়ে যাওয়া হয় নায়িকাকে।
গত বৃহস্পতিবার পরীমণিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাতদিন রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ তার চারদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার পরীমনিকে আদালতে তোলা হয়েছে। দ্বিতীয় দফায় তার রিমান্ড শুনানি চলছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ আগস্ট রাতে রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসা থেকে মাদকসহ গ্রেফতার করা হয় আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনিকে।