কেন্দ্রীয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেননি সাকিব-মোস্তাফিজ!

0
87

বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
২০২০-২০২১ এর কেন্দ্রীয় চুক্তি প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যদিও গত ১৫ই জুন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নতুন প্রস্তাবিত চুক্তির অনুমোদন দেন। তবে কেন তা এতদিনেও প্রকাশ করতে পারছে না বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ! গুঞ্জন রয়েছে দেশের দুই তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেননি। এবার চুক্তিতে অন্যতম শর্ত ছিল যারা লাল বলে খেলতে ইচ্ছুক তারা তা আগেই জানাবে। আর যারা শুধু সাদা বলে খেলতে চায় তারাও লিখিতভাবে উল্লেখ করবে। মানে, টেস্ট খেলতে হলে তা আগে থেকেই জানিয়ে দিতে হবে বিসিবিকে। আর কারও যদি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে ইচ্ছা না থাকে তা আগে থেকেই স্পষ্ট করতে হবে। বরাবরই গুঞ্জন রয়েছে সাকিব ও মোস্তাফিজ টেস্ট খেলতে চান না।
যদিও তা প্রকাশ্যে বলেননি তারা। তাই গুঞ্জন, চুক্তিতে বিসিবি’র মারপ্যাচের কারণেই দু’জন এখনো স্বাক্ষর করেননি। তবে এ বিষয়ে বিসিবির মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস হ্যাঁ, বা না কিছুই বলতে চাননি। তিনি বলেন, ‘এটা নির্বাচক বা ক্রিকেট অপারেশন্স ভালো বলতে পারবে। হয়তো কারও ইস্যুতে আটকে আছে। সমাধান হয়ে যাবে, ঝুলে নেই।’
বিসিবি কেন্দ্রীয় চুক্তি হিসাব করা হয় বছরের প্রথম মাস, অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে। ২০২১ সাল শুরুর পর ইতিমধ্যে পেরিয়ে গেছে সাত মাস, অষ্টম মাসেরও অর্ধেক শেষ। অথচ এখনও চলতি বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি বিসিবি। কেন এত বিলম্ব তা নিয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘এটার আপডেট আমি জানি না। ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগ ও নির্বাচকরা বলতে পারবে কারণ তারা এটা নিয়ে কাজ করছে। হয়তো তারা আরও কিছু খেলোয়াড় যুক্ত করার জন্য সময় নিচ্ছে।’
তরুণদের উত্থানে স্বস্তিতে বিসিবি
বাংলাদেশ দলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ায় বড় দলগুলোর মত টাইগাররাও এখন ঝুঁকছে রোটেশন পলিসির দিকে। তরুণরা ভালো করায় আগামী দিনগুলোতে রোটেশন পলিসির মাধ্যমে টানা ক্রিকেটের সূচি সামলাতে পারবে দল, এমন অভিমত বিসিবি পরিচালক জালাল ইউনুসের। তিনি বলেন, ‘সামনে খেলার সংখ্যা এত বেশি, একটা সময় হয়তো রোটেশন করে খেলাতে হতে পারে। কাউকে বিশ্রাম দিতে হতে পারে। একদম সেট একাদশ বা স্কোয়াড রাখবেন, প্রত্যেক সিরিজে খেলাতে পারবেন এটা বলা কঠিন। তাই হাতে খেলোয়াড় থাকা ভালো।’
জাতীয় দলের পাইপলাইনে অপেক্ষা করছে একঝাঁক প্রতিভাবান তরুণ। বিশেষ করে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্যরা সাকিব-তামিমদের জায়গা নিতে তৈরি হচ্ছে। এরই মধ্যে তাদের দুই তিনজন জাতীয় দলে খেলাও শুরু করেছেন। এর মধ্যে শামীম পাটোয়ারি ও শরিফুল ইসলাম সবার নজরে। এছাড়াও আফিফ হোসেন, নূরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসানরাও নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন। আর এই কারণেই বিসিবিও আছে স্বস্তিতে। তরুণদের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, ‘যখন হাতে এমন খেলোয়াড় থাকে যারা জাতীয় দলে ঢুকবে, বা কিছু ম্যাচ খেলেছে, পাইপলাইনে থাকে, তারা পারফর্ম করলে খুবই আনন্দের বিষয়। ব্যাকআপ খেলোয়াড়রা ভালো খেললে সবাইকে স্বস্তি দেয়। ফ্রন্টলাইনের খেলোয়াড়রা ইঞ্জুরিতে পড়লে ব্যাকআপ খেলোয়াড়দের পাবেন। এটা আমাদের জন্য বড় সাপোর্ট। হুট করে কোনো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় খেলতে না পারলে অন্তত ব্যাকআপ পাবো।’
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শক্তিশালী দল
অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর দারুণ আত্মবিশ্বাসী এখন বাংলাদেশ। আগামী মাসে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫-০তে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে চায় টাইগাররা। তবে কিউইরা পাঠাচ্ছে না তাদের জাতীয় দলের তারকা ক্রিরেটারদের। তাই তাদের বিপক্ষে খেলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আদর্শ প্রস্তুতি নেয়া কি সম্ভব! এ বিষয়ে জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবো। দিনশেষে তারা নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলই। কারা আসছে এটা বিষয় নয়।’ শুধু তাই নয় টাইগাররা মাঠে নামবে শক্তিশালী দল নিয়েই এমনটাই জানালেন মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সিরিজও সফল হবে, আশা রাখি। স্কোয়াডে নতুনদের সঙ্গে অনেক পুরনো খেলোয়াড় এই সিরিজে যুক্ত হবে। দলে এখন প্রতিযোগিতা আছে। মুশফিক-লিটনরা ফিরে এলে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ হবে। যারা গত সিরিজগুলো খেলেছে তাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here