বাংলা খবর ডেস্ক:
পেনাল্টি নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কিন্তু কিক নেয়ার আগ মুুহূর্তে আয়ারল্যান্ডের এক ফুটবলারের ওপর চড়াও হন পর্তুগিজ সুপারস্টার। মেরে বসেন চড়। তবে কী রয়েছে রোনালদো এমন উগ্র মেজাজের নেপথ্যে?
বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল পর্তুগাল। সে ম্যাচে হারতে বসা দলকে জোড়া গোলে বাঁচিয়েছেন রোনালদো। গড়েছেন রেকর্ড। ইরানের কিংবদন্তি ফুটবলার আলি দাইকে টপকে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা এখন সিআরসেভেন।
রোনালদো অবশ্য সর্বোচ্চ স্কোরার হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ম্যাচের শুরুতেই। ১১তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হন ব্রুনো ফার্নান্দেজ।
ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নেন রেফারি। তখনই হয় প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের সঙ্গে রোনালদোর বিবাদের ঘটনাটি।
স্পটকিকের জন্য বল বসিয়ে রেফারির বাঁশির অপেক্ষা করছিলেন রোনালদো। হুট করে প্রতিপক্ষের দারা ও’শেয়ার এসে পা দিয়ে বল সরিয়ে দেয়ায় চটে যান রোনালদো। মেজাজ হারিয়ে ও’শেয়ারের গালে চড় মেরে বসেন তিনি। আইরিশ ফুটবলারদের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত থাকায় বিষয়টি নজরে আসেনি ম্যাচ রেফারির। অন্যথায় রেকর্ড গড়া হতো না রোনালদোর। পড়তে হতো লাল কার্ডের খড়গে। ফুটবলের বেশ কিছু কঠোর নিয়মের মধ্যে এটি একটি নিয়ম।
এরপর সেই পেনাল্টিও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন রোনালদো। যদিও শেষ ৭ মিনিটের চমকে দলকে নির্ঘাত হারের হাত থেকে রক্ষা করেন তিনি। আর এতেই সর্বোচ্চ স্কোরার হওয়ার কীর্তি অর্জন করেন রোনালদো।
দুুই মাস আগেই অবশ্য আলি দাইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা (১০৯) হওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন রোনালদো। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে ফ্রান্সের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন তিনি। এককভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে রোনালদোর প্রয়োজন ছিল মাত্র ১টি গোল।
দারুণ অর্জনে রোনালদোর কণ্ঠে ঝরে পড়েছে উচ্ছ্বাস, ‘আমি অনেক খুশি। দরকার ছিল এক গোলের, আমি করেছি দুটো। আমি খুবই খুশি এই দুই গোলের জন্য, যা একইসঙ্গে আমাকে এনে দিয়েছে রেকর্ড এবং দলকে দিয়েছে জয়।’
রোনালদো বলেন, ‘রেকর্ডটা এখন আমার, এটা অনন্য এক রেকর্ড। আমি অনেক খুশি। আমার ক্যারিয়ারের আরেকটা রেকর্ড এটা। ফুটবল খেলার জন্য এখনো আমার মধ্যে যে আগ্রহ ও ইচ্ছা আছে, এটা তারই প্রতিফলন।’