আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে সাকিব

0
76

বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সব আলো কেড়ে নিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হাতে ৮৬.৫৭ গড়ে করেছিলেন ৬০৬ রান। সাকিবের গড় টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। আর ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১১টি উইকেট। বল ও ব্যাটের দারুণ পারফরম্যান্সে ভূমিকা রাখেন দলের তিনটি জয়ে। টাইগারদের সুপার হিরো অবশ্য খুব বেশিদিন বিতর্কের বাইরে থাকতে পারেননি। জুয়াড়িদের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য গোপন করায় আইসিসি তাকে নিষিদ্ধ করে। এরপর করোনা মহামারিতে গোটা দুনিয়া অচল হয়ে পড়ে।

বন্ধ হয়ে যায় মাঠের ক্রিকেটও। ২০২০ সালে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফেরেন সাকিব। ততদিনে করোনার ধাক্কা সামলে আবারো শুরু হয় ক্রিকেট। অক্টোবর-নভেম্বরে মাঠে গড়াবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। দুবাইয়ের সেই আসরে আবার ‘২০১৯’ এর স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে চান সাকিব। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘গতবার আইপিএল শেষ করে খেলতে গিয়েছিলাম (২০১৯ বিশ্বকাপ)। এবারো ওরকম সুযোগ আছে। চেষ্টা করবো নিজেকে সর্বোত্তম পন্থায় প্রস্তুত করার, যেন দেশের হয়ে নিজের সর্বোচ্চটা দিতে পারি। সবসময় একরকম পারফরম্যান্স হবে যে, তা না। আমার চেষ্টা থাকবে শতভাগ।’

বিশ্বকাপের আগে সাকিব দাঁড়িয়ে আছেন আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। তার সামনে শুধুই লাথিস মালিঙ্গা, যার সুযোগ হয়নি শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপ দলে। সাকিব অবশ্য জানালেন, দলে ভূমিকা রাখাই তার মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, দলের জন্য কতটা অবদান রাখতে পারছি, দলের জয়ে কতটা ভূমিকা রাখতে পারছি। আমার মনোযোগ সবসময় এমনই ছিল, আছে এবং থাকবেও। সেটা যদি উইকেট না পেয়ে রান কম দিয়েও হয়, আমি খুশি থাকবো। ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে দলগত পারফরম্যান্সই আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

আগামী ১৯শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) অসমাপ্ত অংশ। ভারতের করোনা পরিস্থিতি নাজুক হওয়ায় এই অংশ হবে আরব আমিরাতে। অভিন্ন কারণে যা ১৭ই অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরও ভেন্যু। এবারের আসরে সাকিব আছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে, মোস্তাফিজ আছেন রাজস্থান রয়্যালসে। আরব আমিরাতে দুই ক্রিকেটারের অভিজ্ঞতা দলের সঙ্গে ভাগাভাগি করলে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের বাকি সদস্যদেরও সহায়তা করবে বলে বিশ্বাস সাকিবের। তিনি বলেন, ‘আশা করি এটি (আরব আমিরাতে আইপিএল খেলা) দলকে সহায়তা করবে। আমরা যেহেতু সেখানে থাকবো, ঐ কন্ডিশনের সঙ্গে প্রতিদিন দেখা হবে, আমরা ম্যাচও খেলবো। এই অভিজ্ঞতা আমরা দলের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারবো।’

আইপিএলে বিশ্বের তারকা ক্রিকেটাররা খেলেন, যাদের অনেকেই আইপিএল শেষে খেলবেন বিশ্বকাপেও। তাদের সঙ্গে থেকে বিশ্বকাপ নিয়ে অনেক ধারণাই পাবেন সাকিব-মোস্তাফিজরা। সাকিব মনে করেন, এই ধারণা অর্জন উপকৃত করবে গোটা দলকেই। তিনি বলেন, ‘৮টি আইপিএল দলে, এর মধ্যে দু’জন (সাকিব-মোস্তাফিজ) প্রতিনিধিত্ব করছি। বিশ্বকাপ নিয়ে অন্য দেশের খেলোয়াড়দের চিন্তা-ভাবনা জানতে পারবো। যা সতীর্থদের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারবো। যেটা আমাদের বিশ্বকাপে ভালো করতে সহায়তা করবে।’

তবে বিশ্বকাপের আগে নিজের প্রস্তুতি নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নয় সাকিব। বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড সিরিজের উইকেট ব্যাটসম্যানদের জন্য অত্যন্ত কঠিন ছিল বলে মন্তব্য করছেন জাতীয় দলের এই তারকা অলরাউন্ডার। তবে ফর্মহীনতায় ভোগা ব্যাটসম্যানদের নিয়ে তিনি চিন্তিত নন বলেও জানিয়েছেন। সাকিব বলেন, ‘এই ৯-১০টা ম্যাচ যারা খেলেছে সবাই অফ ফর্মে আছে। উইকেটটাই এমন। এখানে কেউ খুব ভালো করেনি।

ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে এই পারফরম্যান্স খুব একটা গণ্য না করাই ভালো। এ রকম উইকেটে কোনো ব্যাটসম্যান ১০-১৫টা ম্যাচ খেললে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। এটা কাউন্ট না করি আমরা। যারা দলে আছে সবাই দেশকে জেতানোর সামর্থ্য রাখে। যার যার জায়গা থেকে সবাই শতভাগ চেষ্টা করছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here