‘মেরুদণ্ডহীন’ ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে রাজনীতি করার সুযোগ নেই

0
420
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। পুরোনো ছবি

বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
‘মেরুদণ্ডহীন’ ওবায়দুল কাদেরের (আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক) সঙ্গে রাজনীতি করার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি বলেছেন, ‘মেরুদণ্ডহীন ওবায়দুল কাদেরের অদূরদর্শীতা সিদ্ধান্তহীনতার কারণে অপরাজনীতির হোতারা আস্কারা পাচ্ছে। আর কোম্পানীগঞ্জের সব ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। তার (ওবায়দুল কাদের) নেতৃত্বে আর রাজনীতি করার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না।’

কাদের মির্জা বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জে আজ কী চলছে, এখানে যে ত্রাসের রাজত্ব চলছে, হিজরত করবো। মিথ্যাবাদী নেতা ওবায়দুল কাদের কোনো ওয়াদা দিয়ে তা রক্ষা করেন না। তাকে যখন, যা অভিযোগ করেছি, দেখছি বলেই শেষ। দলের ওপরও আর কোনো ভক্তি নেই, আমার এখন লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ও বসুরহাট পৌরসভার উন্নয়ন করা। ’ আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার ব্যাক্তিগত ফেসবুক লাইভে এসে এসব কথা বলেন তিনি।

এ সময় কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘দুই বছর আগে থানা পুলিশের অবৈধ দখল উচ্ছেদের সময় একজন সেনা কর্মকর্তা, ইউএনও, এসিল্যান্ড ও আমিসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে পুলিশ সদস্যরা বুলডোজারের নিচে শুয়ে পড়ে। ফলে তখন আর পুলিশের অবৈধ দখলে থাকা সরকারি জায়গায় তাদের স্থাপনা ভাঙা যায়নি। ওবায়দুল কাদেরের গুণধর ভাগনে এখানকার কিশোর গ্যাং লিডার রাহাতের অবৈধ ভবন ভাঙতে গেলে তিনি (ওবায়দুল কাদের) নোয়াখালীর ডিসিকে ফোন করেন, ডিসি কোম্পানীগঞ্জের এসিল্যান্ডকে ফোন করলে ওই অবৈধ ভবনের অংশ আর ভাঙা হয়নি। আমি এখন ব্যবসায়ীদের জবর দখলে থাকা খাল দখল মুক্ত করছি, অনেকে আমাকে সহযোগিতা করছেন। খাল পাড়ে আগে রাস্তা ছিল। খালের এক পাড়ে ওয়াক ওয়ে ছিল, সব জবর দখল হয়ে গেছে।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে ফেসবুক লাইভে বক্তব্য দেওয়ার সময় কাদের মির্জা ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘এটা নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি না, এটা হচ্ছে “বানরের পিঠা ভাগ”। এ কমিটির মাধ্যমে নোয়াখালীর রাজনীতির গুণগত কোনো পরিবর্তন হয়নি, হবেও না। এটা হচ্ছে অপরাজনীতির আরও এক নতুন চমক। আমরা এ কমিটির পক্ষেও নাই, বিপক্ষেও নাই।’

কাদের মির্জা নোয়াখালীর এসপিকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘অপরাজনীতির হোতাদের শেল্টার দাতা, এখন অনেক অবৈধ টাকা সম্পদের মালিক তার (এসপি) কাছে রাহাত অভিযোগ করেছে। আমি নাকি তার (রাহাত) কাছে ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেছি। একটা ডাহা মিথ্যা অপপ্রচার, অপবাদ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে। এটা প্রমাণ হলে আমার বিচার হবে।’

এ সময় এসপিকে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, ‘কিশোর গ্যাং প্রধান রাহাত ও তার ভবন পুলিশ দিয়ে পাহারা দিচ্ছে। বসুরহাট জিরো পয়েন্টের আশে-পাশে আমেরিকা প্রবাসী হাজার কোটি টাকার মালিক এবু কোম্পানির ছেলেরা, কাজল, হোসেনের সরকারি খাস জায়গা থাকা স্থাপনা উচ্ছেদ না করলে আমি নিজ দায়িত্বে এগুলো সব ভেঙে ফেলব। বিএনপি নেতা সেলিম, পলাশ, কামাল চৌধুরী, জামায়াত সেক্রেটারির ভবন আছে রাস্তার ওপর। পুলিশ পাহারা কতক্ষণ থাকবে, আমার সিদ্ধান্ত আমার কর্মী বাহিনী বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও বাস্তবায়ন করবে। যে কোনো মূল্যে বসুরহাট পৌরসভার প্রবাহমান খালের এক পাড়ে আধুনিক দৃষ্টিনন্দন রাস্তা এবং অপর পাড়ে ওয়াক ওয়ে হবেই। এটা কেউ রুখতে পারবে না।

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আরও বলেন, ‘কুলাঙ্গার ইউএনও, এসিল্যান্ড কোনো সহযোগিতা করছে না, কোনো সরকারি খাস জায়গার কাগজপত্র আমাকে দিচ্ছে না। নোয়াখালীর ডিসি সাহেবকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আমাকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করার জন্য।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here