বাংলা খবর ডেস্ক:
প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) যোগ দেয়ার পর এখনও পছন্দ মতো বাড়ি পাননি লিওনেল মেসি। পরিবারসহ থাকছেন প্যারিসের বিখ্যাত লো রয়্যাল মঁসো হোটেলে। যার দিন প্রতি ভাড়া ১৭ হাজার পাউন্ড বা ২০ লাখ টাকা! গত বুধবার মেসির সেই বিলাসবহুল হোটেলে ডাকাতি হয়েছে। সেদিন সন্ধ্যায় একদল মুখোশধারী রীতিমতো তা-ব চালিয়েছে সেখানে। যদিও মেসি কিংবা তার পরিবারের কোনো ক্ষয়-ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
পরিবারসহ মেসি হোটেলের যে অংশে থাকেন, তার ঠিক ওপরের তলায় হয়েছে এই ডাকাতির কা-। কয়েকটি কক্ষ থেকে মূল্যবান অলংকার ও দামি জিনিসপত্র নিয়ে গেছে ডাকাত দল।
ইংলিশ দ্য সানের খবর, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় পাঁচ তারকা সেই হোটেলটির ছয় তলার একটি ব্যালকনির দরজা দিয়ে ঢুকে পড়ে দুজন ডাকাত। সবার মুখ ঢাকা ছিল মুখোশে। ভবনের ছাদ থেকে নিচে নেমেছে ডাকাত দল।
একজন ভুক্তভোগী সংবাদমাধ্যটিকে জানায়, তার ৩ হাজার পাউন্ডের একটি স্বর্ণের নেকলেস, ৫০০ পাউন্ডের ইয়ারিংস এবং ২ হাজার পাউন্ড ক্যাশ টাকা খোয়া গিয়েছে।
ভুক্তভোগী সেই মহিলা বলেন, ‘খুব সুন্দর এবং নিরাপদ একটি হোটেলে থেকেও এমন ঘটনা আসলেই হতাশাজনক।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ আমাদের বলেছে, তারা সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে হোটেলের ছাদে দুজন লোককে দেখতে পেরেছে। তবে তাদের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। একই দিনে আরও তিনটি ডাকাতির ঘটনার অভিযোগ রয়েছে পুলিশের কাছে।’
ভুক্তভোগী মহিলার জানান, চুরির ঘটনা হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানালে প্রথমে তারা বিষয়টি বিশ^াস করেনি। এরপর পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘটনাটি পরিষ্কার হয়।
লিওনেল মেসি হোটেলটিতে থাকতে শুরুর করার পর থেকেই হোটেলের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কাজ হলো না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক মুখপাত্র দ্য সানকে বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে নিরাপত্তাব্যবস্থায় বড় ফাঁক বের করেছে ডাকাতেরা। এ নিয়ে তদন্ত চলছে। যে প্রমাণাদি আমরা পেয়েছি, তাতে বোঝা যাচ্ছে অভিজ্ঞ একটা ডাকাত দল কাজটা করেছে।’