সাংবাদিক কনক সারোয়ার ও তার বোন নুসরাতকে নিয়ে যা বললেন ফখরুল

0
88

বাংলা খবর ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আলোচিত উপস্থাপক ড. কনক সারোয়ার ও তার বোন নুসরাত শাহরিন রাকার প্রসঙ্গ তুলে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ফখরুল বলেন, এই সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনে সে (কনক সারোয়ার) পালিয়ে জীবন রক্ষা করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সে আশ্রয় নিয়েছে। সেখান থেকে সে কিছু সত্য কথা তার চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার করে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সফরকে কেন্দ্র করে একটি প্রতিবেদন সে প্রকাশ করে। সেজন্য এই ভয়াবহ প্রতিহিংসা পরায়ন এই সরকার তার (কনক সারোয়ার) বোনকে গ্রেফতার করেছে।

নুসরাতকে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেওয়ার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কী তার অপরাধ? তিনি কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়, একজন গৃহবধূ। তার ছোট ছোট তিনটি সন্তান আজ কাঁদছে। শুধু গ্রেফতারই করেনি নির্যাতন করেছে, তাকে রিমান্ডে পর্যন্ত নিয়েছে। কতটা ফ্যাসিবাদী হলে, কতটা স্বৈরাচারী হলে, কতটা নির্যাতনকারী হলে, এই ধরনের মানুষের ওপর অত্যাচার নির্যাতন করা যায়।

ফখরুল আরও বলেন, আজকে সাংবাদিকের (কনক সারোয়ার) বোনের ওপর নির্যাতন হয়েছে। ক’দিন আগে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের ওপর নির্যাতন হয়েছে। এরকম আমাদের কত নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে তাদের মা-বোনদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের বাড়িঘর ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এটা কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফারহাদের দ্বিতীয় শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (অ্যাব) আয়োজনে এই স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম রিজুর সভাপতিত্বে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এজেডএম ডা. জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ প্রমুখ।

ফখরুল বলেন, বক্তব্য বেশি দেওয়ার সময় নয়, এখন কাজের সময়। আমি বারবার বলেছি, এই সংকট শুধু বিএনপির নয়, এটা হচ্ছে সমগ্র জাতির সংকট। এই সংকটকে উদ্ধার করতে হলে আজকে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। একা বিএনপি এই ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে পড়েনি, পুরো জাতি পড়েছে। সেই ক্ষেত্রে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে হবে।

গত ৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে নুসরাত শাহরিন রাকাকে আটকের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে হেফাজতে নিয়ে যায়। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় মাদক ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয় তার বিরুদ্ধে। ৬ অক্টোবর তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানায় মাদক ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পৃথক দুই মামলায় সাতদিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিনদিন ও ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি মাদক মামলায় দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here