ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে ‘জাওয়াদ’

0
63
প্রতীকী ছবি

বাংলা খবর ডেস্ক:
আর মাত্র কয়েকঘণ্টা, তারপরই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে নিম্নচাপ। ভারতের আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আজ শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যেই নিম্নচাপে পরিণত হবে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ এ। দুর্যোগের আশঙ্কা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। আগামী শনি এবং রোববার ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতাও দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব, পূর্ব-মধ্য বঙ্গপোসাগরে শক্তি বাড়িয়ে গভীর নিম্নচাপটি বর্তমানে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ দক্ষিণ-পূর্ব, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। ঘন্টায় ৩৬ কিলোমিটার গতিবেগে এগোচ্ছে। শক্তি সঞ্চয় করে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে গভীর নিম্নচাপ। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর ‘জাওয়াদে’র অভিমুখ হবে উত্তর-পশ্চিম দিকে।

আগামীকাল শনিবার সকালে এটি উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ অথবা ওড়িশা উপকূলে পৌঁছাবে। সেখান থেকে আবার গতিপথ পরিবর্তন করবে। এবার অভিমুখ উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিক। শনিবার দুপুরের পর এটি প্রথমে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং পরে ওড়িশা উপকূল বরাবর এগোবে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।

এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলায় বৃষ্টি এবং উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলোতে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আজ শুক্রবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আংশিক মেঘলা রয়েছে আকাশ।

আর আগামীকাল শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুরে। উপকূলের বাকি জেলায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে । শনিবার হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ঝাড়গ্রামেও বৃষ্টির হতে পারে। সঙ্গে ৩০-৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হওয়া। পরদিন রোববার বৃষ্টি আরও বাড়বে। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। তবে কলকাতা-সহ হাওড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রামে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রোববার ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।

এদিকে, মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এই অসময়ের বৃষ্টিতে বেশ কিছু শস্যের ক্ষতি হতে পারে। আজ শুক্রবারের মধ্যে ধান কাটার ব্যবস্থা করেছেন বহু কৃষক। এদিকে, ঝড়বৃষ্টির জেরে বাড়তে পারে ঠান্ডার প্রকোপ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here