নির্বাচনে অংশ নিতে কোন দলকে ফোর্স করা সম্ভব না: ইসি

0
68

বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
নির্বাচনে কে অংশ নেবে আর কে নেবে না, সেটা ফোর্স করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। তবে দায়িত্ব থাকবে আহ্বান করা, যে আপনারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। নির্বাচনে অংশ না নিলে কিন্তু গণতন্ত্র বিকশিত হবে না। গণতন্ত্র বিকশিত হয় নির্বাচনের মাধ্যমে। সকলকে চেষ্টা করতে হবে একটা সুন্দর গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য। আমরা অর্থহীন সংলাপ করছি না।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশন ভবনে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রধান নির্বাহীসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের নিয়ে ইসির চতুর্থ ধাপের সংলাপ শেষে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সিইসি বলেন, সংলাপে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে কথা এসেছে। আমরা ইতিমধ্যে এ নিয়ে কয়েকটি মিটিং করেছি। বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।

অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু ইভিএমের সুবিধা সম্পর্কেও অনেকে কথা বলেছেন। ইভিএমের ব্যবহার পেশি শক্তির ব্যবহার হ্রাস করতে পারে। যেখানে সিল দিয়ে ব্যালট বাক্স পূরণ করা যায় না। কাজেই ইভিএমেরও ভাল দিক আছে। আমরা ইভিএম নিয়ে স্টাডি করছি।

তিনি বলেন, কেউ কেউ বলেছেন নির্বাচনে কেউ আসল কি আসল না এটা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয়। দলগুলো যদি তাদের লোকবল দিয়েই ভারসাম্য করতে পারে, নির্বাচনে যদি দু’টো পক্ষ থাকে, তবে দু’টো পক্ষকে খেলতে হবে, তাহলে নির্বাচনটা ওইদিক থেকে সহজ হয়।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, স্বচ্ছতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভেতরে ক্যামেরা নিয়ে যদি আপনরাদের (সাংবাদিকদের) দেখাতে পারি, কেন্দ্রের ভেতরে যদি ক্যামেরা থাকে, বাইরে যদি মনিটরে দেখা যায়, এগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। এগুলো নিয়ে আমার সহকর্মীরাও বিশ্বাস করেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের বিচরণ যদি থাকে, তারাও রিপোর্ট করতে পারবেন। একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য এই সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি। আমাদের সাধারণভাবে ওপেন হতে হবে। তথ্য দিতে হবে বলে মনে করি।

সিইসি বলেন, আমাদের সৎভাবে দায়িত্ব পালনের স্প্রিহা, চেষ্টা আছে, থাকবে। ব্যাপক অনিয়মের তথ্য আমাদের কাছে আসলে, সাহস নয়, আমাদের দায়িত্ব হয়ে যাবে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেয়ার। অনেক বিধান আমাদের অনুকূলে থাকলেও তা প্রয়োগের হার বাড়াতে হবে। নির্বাচনকে হস্তক্ষেপমুক্ত রাখতে যা যা করতে হয়, তা তা করতে হবে। তবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, তা নিশ্চিত করা। অনেক সময় কারচুপির হয়, সেটা রোধ করতে হবে। আমরা আমাদের সামর্থ্য, দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করবো। জাতিটা সকলের। আপনারাও আমাদের সহায়তা করবেন।

এটিএন বাংলার নির্বাহী সম্পাদক জ.ই. মামুন বলেন, বাংলাদেশের কোন নির্বাচন কমিশনই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নয়। সকলেই বলেছেন যারা পরাজিত হোন তারা নির্বাচনের সমালোচনা করেন। কিন্তু আপনারা অনেকেই বলেছেন রাতে তো নির্বাচন হয় না। আসলে রাতে ভোটের বাক্স ভরে রাখা হয়েছিল ব্যালট পেপার দিয়ে। ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে পরের দিন। এগুলোই ঘটেছে বাংলাদেশে। আমরা এই কথাগুলো জেনেশুনেও বলি না, কারণ আমরা বলতে ভয় পাই, লিখতে ভয় পাই। বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা কতখানি তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু এখন আমার স্বাধীনতা আর নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা যদি এক রকম হয় তাহলে আমাদেরকে এখানে ডাকার কোন মানে হয় না। আমি মনে করি নির্বাচন কমিশন আমার চাইতে স্বাধীন। নির্বাচন কমিশন যদি স্বাধীনভাবে কথা বলতে চায়, স্বাধীনভাবে কাজ করতে চায় তাহলে তাদের পক্ষে অনেক কিছু করা সম্ভব। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ যথেষ্ট। নির্বাচন কমিশনের মেরুদন্ড শক্ত থাকলে সরকারের খুব বেশি কিছু করার ক্ষমতা থাকে না। আপনারা চাইলেই সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবেন। বাংলাদেশের মানুষ, বাংলাদেশের গণমাধ্যম আপনাদেরকে সহায়তা করবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here