বাংলা খবর ডেস্ক:
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলার পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
গতকাল শুক্রবার দিনভর কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার অন্তত ৯টি স্থানে অভিযান চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা ইডি।
পি কে হালদারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ পর্যন্ত ৩৪টি মামলা হয়েছে।
তার সহযোগীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক। তাদের মধ্যে ১০ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের অন্তত ৯টি স্থানে অভিযান চালায় ইডি।
ইডি জানিয়েছে, পি কে হালদার নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিতেন। নাম বলতেন শিবশংকর হালদার। তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে ভারতীয় ভোটার পরিচয়পত্র, আধার কার্ড,পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রেশন কার্ডসহ বিভিন্ন ভারতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছিলেন। তার অন্য সহযোগীরাও একই কাজ করেছিলেন। এ পরিচয়পত্রের সাহায্যে ভারতে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছু কোম্পানি খুলেছিলেন তারা। বিভিন্ন অভিযাত এলাকায় জমিজমাও কিনেছিলেন তারা।
পি কে হালদার বাংলাদেশে বহু কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত বলেও ইডি তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে। তারা বলেছে, এই টাকা বিরাট পরিমাণে ভারতসহ অন্য দেশে পাঠানো হয়েছে। এ মুহূর্তে অন্তত ১০টি জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। প্রধানত আর্থিক কেলেঙ্কারি, বেআইনিভাবে টাকা দেশে ঢোকানো, বিদেশে পাচার করা এবং আইনবহির্ভূত সম্পত্তির বিষয় নিয়ে তদন্ত করে ইডি। এ বিষয়ে তদন্ত ক্রমেই এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও জানিয়েছে ইডি।