লঙ্কান শিবিরে আঘাত এবাদতের

0
243

বাংলা খবর ডেস্ক:
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে দারুণ শুরু পায় শ্রীলঙ্কা। অবশেষে লঙ্কান শিবিরে আঘাত এনে স্বাগতিকদের ব্রেক থ্রু পাইয়ে দিলেন এবাদত হোসেন। ২৬তম ওভারের পঞ্চম বলে শ্রীলঙ্কার ৯৫ রানে ওপেনার ওশাদা ফার্নান্দোকে স্লিপে থাকা নাজমুল হোসেনের ক্যাচে বিদায় করেন এবাদত। ওশাদা ৯১ বলে ৮টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৭ রান করেন।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা ২৭ ওভার শেষে এক উইকেট হারিয়ে ১০১ রান করেছে। এখনও তারা বাংলাদেশ থেকে ২৬৪ রানে পিছিয়ে রয়েছে।

এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন নিজেদের প্রথম ইনিংসে সব উইকেট হারিয়ে ৩৬৫ রান করে বাংলাদেশ। শেষ ব্যাটার হিসেবে এবাদত হোসেন রান আউট হয়ে ফেরেন। তবে প্রথম দিন সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া মুশফিকুর রহিম ১৭৫ রানে অপরাজিত থেকে যান।

মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ফেরেন লিটন দাস। স্লিপে ক্যাচ দিয়ে তিনি ২৪৬ বলে ১৬টি চার ও একটি ছক্কায় ১৪১ করে কাসুন রাজিথার বলে আউট হন। একই ওভারে নতুন ব্যাটার মোসাদ্দেক হোসেন ব্যক্তিগত শূন্য রানে বিদায় নেন। এরইসঙ্গে লঙ্কান পেসার রাজিথা পাঁচ উইকেট দখল করেন।

তবে এরপর তাইজুল ইসলামকে নিয়ে অষ্টম উইকেট জুটিতে ৪৯ রান যোগ করেন মুশফিক। তাইজুল শেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে ১৫ রান করে আসিথা ফার্নান্দো বলে বিদায় নেন। খালেদ আহমেদও একই বোলারের বলে আউট হন শূন্য রানে। মুশফিক ৩৫৫ বল খেলে ২১টি চারের সাহায্যে ১৭৫ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।

শ্রীলঙ্কান বোলারদের মধ্যে কাসুন রাজিথা ৫টি ও আসিথা ফার্নান্দো ৪টি উইকেট দখল করেন।

এর আগে গতকাল সোমবার ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই একের পর এক উইকেট খুইয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছিল বাংলাদেশ দল। সেই ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে শতক পেয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশ ৫ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান করেছিল। মুশফিক ১১৫ ও লিটন ১৩৫ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছিলেন।

রানের খাতাই খুলতে পারেননি ৬ জন:

ওদিকে সফরকারী শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৬৫ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। ২৪ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসই বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন এই সংগ্রহে। বাংলাদেশের ৬ জন ‘ডাক’ মারলেও মুশফিক-লিটন হাঁকিয়েছেন বড় শতক।

১৭৫ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন মুশফিক।

৩৫৫ বলের এই ইনিংসে ‘মিস্টার ডিপেন্ডেবল’ হাঁকিয়েছেন ২১টি চার। ২৪৬ বলে ১৪১ রানের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলেছেন লিটন দাস। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে গড়েছেন ২৭২ রানের জুটি।
মাহমুদুল হাসান জয়, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন কোনো রানই করতে পারেননি। তবে রান না করতে পারলেও শেষ উইকেট জুটিতে ২০ বল খেলে মুশফিককে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন এবাদত। তাঁর দূভাগ্যজনক রানআউটের মধ্যে দিয়ে ভাঙে ১৬ রানের শেষ উইকেট জুটি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here