ভোলায় পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত ১, পুলিশসহ আহত শতাধিক

0
289

বাংলা খবর ডেস্ক:
ভোলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং লোড শেডিংয়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। পুলিশ টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। সংঘর্ষে ১০ পুলিশসহ বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মো. আব্দুর রহিম (৩৫) নামের সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ছাড়াও গুরুতর আহত পাঁচ-ছয়জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত চলে এ সংঘর্ষ। এ সময় শহরের মহাজনপট্টি জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনের অংশ রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. নাজমিনা ঐশী জানান, হাসপাতালে অনেক রোগী এসেছেন গুলিবিদ্ধ অবস্থায়। তাদের মধ্যে একজনকে আনা হয়েছে মৃত অবস্থায়। তার শরীরে গুলির আঘাত রয়েছে।

এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ গোলাম নবী আলমগীর তার বাসভবনে দুপুর ২টার দিকে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। তিনি দাবি করেন, বেলা ১১টার দিকে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি এবং লোড শেডিংয়ের প্রতিবাদে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এক প্রতিবাদ সভা করেন তারা। সভা শেষে দলীয় নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করার সময় পুলিশ প্রথমে তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। পরে একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ওপর এলোপাতাড়ি রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও গুলি ছুড়তে থাকে। এতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ ট্রুম্যান, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ূন কবির শোপানসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। এর মধ্যে প্রায় ৩০ জনের অবস্থা গুরুতর। তারা ভোলা সদর হাসপাতাল ও বরিশালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। পুলিশের ছোড়া গুলিতে আব্দুর রহিম নামের সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক সদস্য নিহত হয়েছেন।

ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ ফরহাদ সরদার জানান, সকালের দিকে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে তারা সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলে পুলিশ তাদেরকে সড়ক বন্ধ করতে নিষেধ করে। এর পরও তারা সড়ক বন্ধ করে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে এবং তাদের মিছিলের মধ্য থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে প্রথমে লাঠিচার্জ করে। এতেও তারা ক্ষান্ত না হওয়ায় পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় পুলিশের অন্তত ১০ সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here