বাংলা খবর ডেস্ক:
২০১০ সালের পর ইংল্যান্ডের মাঠে টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের জন্য চার বছরের যে সফরসূচি হয়েছে তাতেও সেই সুযোগ নেই। তার মানে ১৭ বছরে ইংল্যান্ডের মাঠে বাংলাদেশের কোনো টেস্ট ম্যাচ নেই।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, আমরা আস্তে আস্তে এগোচ্ছি। আমাদের চেষ্টা থাকবে যে দেশগুলোতে আগে সফর ছিল না, সেগুলোতে করা। প্রায় সব দেশের সঙ্গে আমাদের খেলা আছে। সবাই বড় দলগুলোর সঙ্গে খেলতে চায়, একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবার সঙ্গে খেলা সম্ভবও নয়। যতটুকু সম্ভব হয়েছে, আমরা চেষ্টা করেছি।
তিনি আরও বলেন, গত এফটিপিতে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে কোনো খেলা ছিল না। এবার অস্ট্রেলিয়ায় একটা সিরিজ নিশ্চিত করেছি। এরপর আমাদের লক্ষ্য থাকবে, যে দেশগুলাতে সফর নেই, পরের এফটিপিতে বা এই এফটিপির মধ্যেও সেই দেশগুলোতে সফর করা যায় কিনা।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন সময় বা পরিস্থিতিতে নানা কিছু ডেভেলপ করে। যেমন, বড় কোনো ইভেন্টের আগে কোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হোক বা ত্রিদেশীয় সিরিজ, আয়োজন করা হয়। সেই সুযোগ আছে। আরেকটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে, এই সূচির বাইরেও কিন্তু আইসিসি ও এসিসি ইভেন্ট আছে। যথেষ্ট পরিমাণে ম্যাচ তাই আছে। চাইলেই ম্যাচ বাড়ানো ঠিক হবে না।
ওদিকে বাংলাদেশ দলের আগামী চার বছরের পূর্ণাঙ্গ সূচি চূড়ান্ত। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম অনুসারে (এফটিপি) ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ৩৪টি টেস্ট, ৫৯ টি ওয়ানডে আর ৫৭ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে।
২০০৩ সালের পর প্রথমবার অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলতে যাবে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডে দ্বিপাক্ষিক টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে টাইগারা।
বুধবার এফটিপি প্রকাশ করে আইসিসি জানায়, এই চক্রে ১২টি টেস্ট খেলুড়ে দেশ ৭৭৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে, যা গতবারের চেয়ে বেশি। ১৭৩ টেস্টের সঙ্গে রয়েছে ২৮১টি ওয়ানডে ও ৩২৩টি টি-টোয়েন্টি। গত চক্রে মোট ম্যাচ হয়েছিল ৬৯৪টি।
অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে বাংলাদেশ। এবারের চক্রে ভারতের সঙ্গে সব মিলিয়ে খেলবে ৪টি টেস্ট, ৬টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে টাইগাররা।
পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেও ৪টি করে টেস্ট এবং ৬টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে ২টি করে টেস্ট এবং ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্টের সঙ্গে আছে ৯টি ওয়ানডে ও ৬টি টি-টোয়েন্টি।
বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলবে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। ৩ টেস্টের সঙ্গে আছে ১২টি ওয়ানডে ও ১৩টি টি-টোয়েন্টি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪ টেস্টের পাশাপাশি ৮টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৪ টেস্টের সঙ্গে ৩ ওয়ানডে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে নেই কোনো টি-টোয়েন্টি।