হাওয়া সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধ করতে লিগ্যাল নোটিশ

0
54

বাংলা খবর ডেস্ক:
হাওয়া সিনেমাটির ছাড়পত্র বাতিল করে দেশে ও দেশের বাইরে প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শনী বন্ধ ঘোষণা করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে সেন্সর বোর্ড পুনঃগঠন করে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্য, আইনজীবী ও পরিবেশবিদদের সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বলা হয়েছে। নোটিশে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সাত দিনের সময় দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার রেজিস্ট্রিযোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান বরাবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এই নোটিশ পাঠান।

এ ছাড়া ভবিষ্যতে কোনো সিনেমার ছাড়পত্র দেওয়ার আগে যেন ভায়লেন্স পূর্ণ খুনের দৃশ্য, অশ্লীল গালি এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর কোন ধারার লঙ্ঘন না হয় সে ব্যাপারে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে নোটিশে।

নোটিশে বলা হয়ছে, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়ে গত ২৯ জুলাই মুক্তি পাওয়া হাওয়া সিনেমায় ট্রলারে থাকা একটি খাঁচায় শালিক পাখি বন্দি অবস্থায় দেখা যায়। একপর্যায়ে সেটিকে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়েছে। হাওয়া সিনেমায় কয়েকটি দৃশ্য রয়েছে যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত এ ধরনের অপরাধের ফলে সাধারণ মানুষ পাখি শিকার, খাঁচায় পোষা ও হত্যা করে খাওয়ায় উৎসাহিত হবে।

নোটিশে আরও বলা হয়েছে, হাওয়া সিনেমায় বেশ কয়েকটি খুনের দৃশ্য রয়েছে যা খুবই ভয়ংকর তথা ভায়লেন্স পূর্ণ। এ ছাড়া পুরো হাওয়া সিনেমায় নারী চরিত্রকে নেতিবাচক হিসেবে তুলে ধরার পাশাপাশি অসংখ্য অশ্লীল গালি ব্যবহার করা হয়েছে। যা পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা মোটেও উচিত নয়। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিশু-কিশোররা, তরুণ-তরুণীরা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। যা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অথচ হাওয়া সিনেমার কোথাও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা নিষেধ এই কথাটিও উল্লেখ নাই।

এই ধরনের চলচ্চিত্র শুধু দেশেই নয় বর্হিবিশ্বেও বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here