বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিবে যুক্তরাষ্ট্র

0
171
ছবি: ইউনিসেফ

বাংলা খবর ডেস্ক:
দমন-নিপিীড়ণের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাদের ওপর দমন অভিযানের পাঁচ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেওয়া বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ কথা বলেছেন। তবে কবে থেকে এবং কত সংখ্যক রোহিঙ্গাকে যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হবে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার এক বিবৃতিতে অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্মিলিত মানবিক সহায়তার অত্যাবশ্যক পদক্ষেপ হিসেবে আমরা বাংলাদেশসহ ওই অঞ্চল থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পুনর্বাসন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়াতে কাজ করছি। যাতে তারা যুক্তরাষ্ট্রে তাঁদের জীবনকে নতুনভাবে গড়তে পারে।’

এদিকে,জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বলেছেন, মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে অবশ্যই রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিখ বলেন, গুতেরেস রোহিঙ্গাদের ভবিষ্যত নিয়ে অস্পষ্ট আকাঙ্ক্ষা উল্লেখ করেছেন। যারা বৌদ্ধ-সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে ব্যাপক বৈষম্যের সম্মুখীন। তারা বেশিরভাগ নাগরিকত্বসহ অন্যান্য অনেক অধিকার থেকে বঞ্চিত।

গুতেরেসের মুখপাত্র আরও বলেন, মিয়ানমারে সংঘটিত সব ধরনের আন্তর্জাতিক অপরাধে জড়িত অপরাধীদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ব্যাপক দমন-পীড়নের মুখে দলবেঁধে বাংলাদেশে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। মানবিক কারণে আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ। ওই সময় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়। অবশ্য এর আগে সাড়ে তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে কক্সবাজারে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছেন। এর মধ্যে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

বাংলাদেশ বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য দেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় দ্রুত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের বন্দোবস্ত করার কথা বলে আসছে। এমনকি পশ্চিম দেশগুলোর মধ্যে কোনো দেশ পারলে যেন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়, সে আহ্বানও জানাচ্ছে বাংলাদেশ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here