‘২০২১ সালে সেবা খাতে ঘুষের পরিমাণ ১০৮৩০ কোটি টাকা’

0
54

বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
২০২১ সালে দেশের সেবা খাতে জাতীয় পর্যায়ে প্রাক্কলিত মোট ঘুষের পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার ৮৩০ দশমিক ১ কোটি টাকা। যা ২০২০-২১ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের (সংশোধিত) ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এই ঘুষের পরিমাণ বাংলাদেশে জিডিপির শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ। মূলত সংস্থাটি দেশের আটটি বিভাগকে ১৬টি স্তরের বিভাজন করে জনসংখ্যার আনুপাতিক ক্রমে শহর-গ্রামসহ মোট ১৩২০টি খানার ওপর জরিপ করে এই হিসাব দিয়েছে।

বুধবার (৩১ আগস্ট) রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআইবির গবেষণা পরিচালক ফারহানা রহমান ও গবেষণা পরিচালক নূরে আলম মিলটন।

টিআইবি জানায়, সেবা খাতে দুর্নীতি ২০২১ জরিপের ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায় ২০২১ সালে ১৭টি খাত বিবেচনায় সার্বিকভাবে ৭০ দশমিক ৯ শতাংশ খানা দুর্নীতির শিকার হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ দুর্নীতিগ্রস্ত সাতটি খাত হচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা (৭৪.৪%), পাসপোর্ট (৭০.৫%), বিআরটিএ (৬৮.৩%), বিচারিক সেবা (৫৬.৮%), স্বাস্থ্যসেবা (৪৮.৭%), স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান (৪৬.৬%) এবং ভূমি সেবা (৪৬.৩%)।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২১ সালে সার্বিকভাবে ঘুষের শিকার হওয়া খানার হার ৪০ দশমিক ১ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ঘুষ গ্রহণকারী তিনটি খাত হচ্ছে পাসপোর্ট, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা ও বিআরটিএ। জরিপে অন্তর্ভুক্ত ঘুষদাতা খানার ৭২.১% ঘুষ দেওয়ার কারণ হিসেবে ‘ঘুষ না দিলে সেবা পাওয়া যায় না’ এ কথা বলেছে, অর্থাৎ ঘুষ আদায়ের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ অব্যাহত রয়েছে।

টিআইবির তথ্য মতে, ২০২১ সালে সার্বিকভাবে খানাপ্রতি গড়ে ছয় হাজার ৬৩৬ টাকা ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছে এবং সর্বোচ্চ ঘুষ আদায়ের তিনটি খাত হলো বীমা, বিচারিক ও গ্যাস সেবা।

টিআইবির প্রধান নির্বাহী ইফতেখারুজ্জামান জানান, যারা দুর্নীতি ও ঘুষের শিকার তারা সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিযোগ করেছে। তবে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগের পরিমাণ কম।

দুর্নীতির বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই প্রতিবেদনকে অসত্য বলে দাবি করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এবারও তাই হতে পারে। এ বিষয়ে মন্তব্য চাইলে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই প্রতিবেদনকে ইতিবাচকভাবে দেখবে। গুরুত্বপূর্ণভাবে দেখবে। ’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি করলে পার পাওয়া যায়, এই ভাবনা থেকেই দেশে দুর্নীতি বাড়ছে। ’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here