‘মানবাধিকার লঙ্ঘনে যুক্তদের পুরস্কৃত করছে সরকার’-এইচআরডব্লিউ

0
43

বাংলা খবর ডেস্ক:
মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত থাকার পরও নিরাপত্তা বাহিনীর কমান্ডারদের বাংলাদেশ সরকার পদোন্নতিসহ নানাভাবে পুরস্কৃত করছে বলে অভিযোগ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। গত বুধবার নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এইচআরডব্লিউর দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক মিনাক্ষি গাঙ্গুলি অভিযোগ করেন, নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-, নির্যাতনের মতো

মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত; কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের অপরাধের জন্য জবাবদিহিতা নিশ্চিত না করে উল্টো পুরস্কৃত করছেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর র‌্যাবের সাবেক ডিজি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন পুলিশের নয়া মহাপরিদর্শক (আইজিপি) পদে দায়িত্বগ্রহণ করেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, আবদুল্লাহ আল-মামুন যখন র‌্যাবের ডিজি ছিলেন, তখন মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে এই বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র; কিন্তু সে ঘটনার এক বছরের কম সময়ের মধ্যে তাকে আইজিপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে আইজিপির দায়িত্বে থাকা ড. বেনজীর আহমেদ র‌্যাবের ডিজি থাকাকালে তার অধীনে থাকা কর্মকর্তারা মোট ১৩৬ বিচারবহির্ভূত হত্যাকা- এবং ১০টি গুমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধেও যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়; কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে ড. বেনজীরকে বাংলাদেশ সরকার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের একটি সম্মেলনে প্রতিনিধি দলের সদস্য করে।

এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের পক্ষ থেকে র‌্যাবে সংস্কারের আহ্বান জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নতুন আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছিলেন, আমরা এমন কিছু করছি না, যার জন্য র‌্যাবে সংস্কার করতে হবে। তাই সংস্কারের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। এ ছাড়াও চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রথমে আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়া র‌্যাবের আরেক কর্মকর্তা এডিজি কর্নেল খান মোহাম্মদ আজাদকে তাদের সাহসিকতা ও সেবার জন্য পুরস্কৃত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় কর্নেল আজাদ বলেছিলেন, যদি কোনো অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, তা হলে দেশের স্বার্থে মানবাধিকার লঙ্ঘনে আমাদের আপত্তি নেই।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সরকারের এমন পদক্ষেপ বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর কাছে এই বার্তা দেয় যে, সরকার শুধু তাদের বিরুদ্ধে থাকা ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগগুলো উপেক্ষাই করবে না, উল্টো তাদের আরও পুরস্কৃত করবে। তাই যুক্তরাষ্ট্র যে ব্যবস্থা নিয়েছে অন্য দেশগুলোরও উচিত বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে একই পদক্ষেপ নেওয়া।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here