দেশে করোনার নতুন উপধরন বিএফ.৭

0
841

বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
এবার বাংলাদেশে নভেল করোনা ভাইরাসের ‘ওমিক্রন’ ধরনের (ভ্যারিয়েন্ট) নতুন উপধরন (সাব-ভ্যারিয়েন্ট) বিএফ.৭ শনাক্ত হয়েছে। কোভিডে আক্রান্ত চার চীনা নাগরিকের মধ্যে একজনের শরীরে মিলেছে এ উপধরন। সরকারি একটি ল্যাবে ওই চারজনের নমুনার জিনোম সিকুয়েন্স করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় এখন থেকে সবাইকে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, মহাখালীর ডিএনসিসি হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকা চার চীনা নাগরিকের নমুনার জিনোম সিকুয়েন্স সম্পন্ন হয়েছে। এদের একজনের শরীরে বিএফ.৭ শনাক্ত হয়েছে। বাকি তিনজনের মধ্যে

দুজনের ওমিক্রন বিএ ৫.২ উপধরন এবং আরেকজনের বিএ ৫.২.১ উপধরন শনাক্ত হয়েছে। চীন ও ভারতসহ কয়েকটি দেশে বিএফ.৭ উপধরনের কারণে সংক্রমণের হার বাড়ছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বিএফ.৭ উপধরনটি আমাদের জন্য শঙ্কার। এটি যদি শনাক্ত হয়ে থাকে, তা হলে অবশ্যই দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা রক্ষায় সব ধরনের সতর্কতা মেনে চলতে হবে।’ গত ২৬ ডিসেম্বর চীন থেকে বাংলাদেশে আসা চার চীনা নাগরিকের শরীরে নভেল করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়। বিমানবন্দরে এন্টিজেন পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের পর তাদের নেওয়া হয় ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে।

বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, ওই চারজন চীন থেকে আরটিপিসিআরের করোনার নেগেটিভ সনদ নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু বিমানবন্দরে কিছু লক্ষণ দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাদের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করানো হয়।

কয়েকটি দেশে কোভিডের হার বেড়ে যাওয়ায় গত ২৫ ডিসেম্বর দেশের সব বিমান, স্থল ও সমুদ্রবন্দরে নজরদারি (স্ক্রিনিং) বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। নির্দেশনা দেওয়া হয়, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষার মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নিতে হবে।

এর আগে ২৪ ডিসেম্বর বিএফ.৭ প্রতিরোধে ছয় পরামর্শ দেয় ‘কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি’। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রন্ট লাইনার, ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব কোমরবিড রোগে (একাধিক রোগে আক্রান্ত) আক্রান্ত এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সকে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ অথবা ৪র্থ ডোজের টিকার আওতায় আনতে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা জোরদারের ব্যবস্থা করতে হবে; আশঙ্কাজনক ব্যক্তি এবং মৃত্যুঝুঁকি আছে- এমন রোগে আক্রান্তদের সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যবস্থা নিতে হবে; বন্দরগুলোয়, বিশেষ করে চীন, জাপান, কোরিয়া, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে উপসর্গ থাকলে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনতে হবে; দেশের সব কোভিড হাসপাতাল ও অন্যান্য হাসপাতালগুলোকে কোভিড চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত রাখার পরামর্শও দিয়েছে কমিটি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here