বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
ভারতীয় সিনেমা আমদানিতে সম্মত হয়েছে চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ১৯ সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত চলচ্চিত্র সম্মিলিত পরিষদ। আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে ‘তালাশ সিনেমা’র অনুষ্ঠানে এ কথা জানান শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন।
শিল্পী সমিতির বিগত কমিটি দেশে ভারতীয় সিনেমা আনার ব্যাপারে বিরোধিতা করলেও বর্তমান কমিটি এতে সম্মতি দিয়েছে। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দাবি, ভারতীয় সিনেমা বাংলায় ভাষান্তর না করে প্রদর্শন করতে হবে।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘এর আগে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের হিসাব-নিকেশের মধ্যে একটা বোধহয় ভুল হয়ে গেছে। কারণ, যদি সিনেমার সংখ্যা বেশি থাকত, তাহলে কিন্তু সিনেমা হল বন্ধ হতো না। এটা আমি ভেবেছি। ভেবে দেখলাম যে- আমার ১৪০০ সিনেমা হল থেকে ৬৫-তে কেন নেমে এলো। ৬৫ থেকে যেন নেমে না যায় সেই ব্যবস্থা তাদের করা উচিত ছিল।’
কাঞ্চন আরও বলেন, ‘সিনেমা হলে যদি আপনি প্রোডাক্ট না দেন, তাহলে হল খুলবে কেন। আমাকে হল মালিকরা বলেছেন, প্রতিদিন একটা সিনেমা হল না খুললেও ৪-৫ হাজার টাকা খরচ আছে। কতদিন এভাবে চলবে।’
ভারতীয় সিনেমা কীভাবে আনা যেতে পারে, সে ব্যাপারে একটা পরিকল্পনা করতে হবে বলেও জানান ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, ‘একটা সময় বেঁধে দিয়ে, নির্দিষ্ট পরিমাণ সিনেমা এনে, সুন্দর পরিকল্পনার মাধ্যমে যদি এটা করা হতো, তাহলে আমার মনে হয় যে সিনেমা হলগুলো বন্ধ হতো না।’
ক্রাইসিসের সময়টা পার করতে পারলে আমদানি বন্ধ করে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শিল্পী সমিতির সভাপতি।
কাঞ্চন বলেন, ‘আমাদের যে চলচ্চিত্র সম্মিলিত পরিষদ আছে, যার আহ্বায়ক অভিনেতা আলমগীর, সেখানে এরই মধ্যে একটা মিটিং হয়েছে। সেই মিটিংয়ে এই ধরনের আলাপ হয়েছে।’
শিল্পী সমিতিতেও বিষয়টি নিয়ে মিটিং হয়েছে বলে জানান ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি বলেন, ‘সমিতিতেও বিষয়টি নিয়ে আমরা মিটিং করেছি। আমাদের সিদ্ধান্ত হলো- ভারতীয় সিনেমা আসবে, তবে বাংলায় ডাবিং করে সেগুলো চালানো যাবে না। যেটা যে ভাষায় আছে, সেই ভাষায় চলবে।’
মন্ত্রণালয় চাইলে বিষয়টি নিয়ে আরও কথা বলতে রাজি আছে চলচ্চিত্র সম্মিলিত পরিষদ বা শিল্পী সমিতি। কাঞ্চনের দাবি, বাংলা সিনেমাকে প্রাধান্য দিতে হবে।
কাঞ্চন বলেন, ‘মন্ত্রণালয় বলেছে ঈদের মধ্যে বিদেশি সিনেমা চালানো যাবে না। দেখেন, রোজার ঈদে প্রায় ২০০ সিনেমা হল চালু হয়েছে। এখন যদি ঈদের মধ্যে দেশি-বিদেশি সিনেমা চালানোর মাধ্যমে ৬০০ সিনেমা হল চালু হয়, তাহলে সমস্যা কোথায়।’
সিনেমা হলকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে, তার জন্য প্রয়োজন প্রোডাক্ট। অন্যদিকে সিনেপ্লেক্স নির্মাণ ও প্রেক্ষাগৃহ সংস্কারের জন্য স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ দিচ্ছে সরকার। সেই ঋণ নিতে চাইলেও হলমালিকদের সিনেমা প্রয়োজন। তাদেরও দাবি, ভারতীয় সিনেমা সহজভাবে আনার ব্যবস্থা করে দিক সরকার।