মিরপুর স্টেডিয়াম পর্যবেক্ষণ করেন কোচ হাতুরুসিংহে

0
72

বাংলা খবর ডেস্ক,ঢাকা:
সর্বশেষবার ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পা রেখেছিলেন চান্দিকা হাতুরুসিংহে। বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব ছাড়ার পরমুহূর্তেই নিজ দেশ শ্রীলঙ্কার হেড কোচ হিসেবে বাংলাদেশেরই প্রতিপক্ষ হয়ে ফিরেছিলেন। সেই হিসাবে ৫ বছরের বেশি সময় পর আবার বাংলাদেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত এই স্টেডিয়ামে পা রেখেছেন হাতুরুসিংহে।

দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিতে সোমবার রাতে ঢাকায় আসেন এ শ্রীলঙ্কান। আর মঙ্গলবার সকালেই মিরপুরে আসেন তিনি পর্যবেক্ষকের ভূমিকায়। দীর্ঘ সময় পর এসে পুরনো শিষ্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে তার, নতুনদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং কোচিং স্টাফ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে মাঠ দেখেছেন, প্রধান কিউরেটর গামিনি ডি সিলভার সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজের আগেই উইকেট বিবেচনা করে পরিকল্পনা সাজাতে হবে তার। তাই এদিন পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন হাতুরুসিংহে। আজই হাতে-কলমে শিক্ষার শুরু করবেন এই ক্রিকেট গুরু। হাতুরুসিংহে কোচ থাকাকালীন খালেদ মাহমুদ সুজন ছিলেন জাতীয় দলের ম্যানেজার। আগেরদিনই সুজন এই কোচের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘ভালো পরিকল্পনাকারী তিনি। সত্যি বলতে, আমার মনে হয় প্ল্যানিংয়ের মাস্টার সে। কারণ সে অনেক বড়টা দেখতে পারে, দূরেরটা দেখতে পারে। সুতরাং আমার মনে হয়, ও এলে এগুলো নিয়ে কাজ করা যাবে।’

হাতুরুসিংহে সোমবার ঢাকায় পা রেখে হাস্যোজ্জ্বল মুখে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে এসে ভালো লাগছে। বাংলাদেশের মানুষদের সবসময়ই পছন্দ করি, এজন্যই আবার ফিরেছি।’ মঙ্গলবার ক্রিকেটারদের ঐচ্ছিক অনুশীলন থাকলেও সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজ ব্যতীত সবাই এসেছিলেন। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে স্কোয়াডে থাকা বাকি সদস্যরা যেমন ছিলেন তেমনি দলে জায়গা না পাওয়া রেজাউর রহমান, শরিফুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, নাসুম আহমেদ, ইয়াসির আলী রাব্বি, নুরুল হাসান সোহানরাও ছিলেন। খুব সকালেই বিসিবিতে আসেন হাতুরুসিংহে।

বিসিবির নতুন পদ হেড অব প্রোগ্রাম, সেই পদে দায়িত্ব পাওয়া ডেভিড মুরের সঙ্গে একটু বেলা করেই মিরপুর স্টেডিয়ামে নামেন তিনি। প্রথমেই দেখা হয় তার নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে। এরপর একে একে বাকিরা এগিয়ে আসেন।

এবাদত হোসেনকে দেখে স্যালুট দেন এবং সবার সঙ্গেই কথা বলেন হাতুরুসিংহে। এরপর খালেদ মাহমুদের সঙ্গে আলোচনা করে মূল উইকেটে গেছেন এবং স্বদেশী কিউরেটর গামিনির সঙ্গে কথা বলেন। জাতীয় দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবালও ছিলেন। সুজনকে নিয়ে ইনডোরে গিয়ে তরুণ তৌহিদ হৃদয়, সোহান, জয় ও আফিফ হোসেনদের সঙ্গে দেখা হয় তার। তাদের সঙ্গে ছিলেন ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স ও হাতুরুসিংহের স্বদেশী স্পিন বোলিং কোচ রঙ্গনা হেরাথ। মিনিট দশেক ইনডোরে থাকার সময় নির্মাণাধীন ইনডোর সেন্টারও ঘুরে দেখেন তিনি।

এরপর মাঠে ফিরে আবারও গামিনির সঙ্গে কথা বলেছেন। হাতুরুসিংহের সময়েই স্পিন সহায়ক উইকেট বানিয়ে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো পরাশক্তিদের বিপক্ষে সফল হয়েছে বাংলাদেশ। এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দায়িত্বের শুরুটা কিভাবে করবেন তা মঙ্গলবার দেখেশুনে পরিকল্পনা আঁটতে শুরু করে দেবেন হয়তো হাতুরুসিংহে। আজই ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ শুরু করবেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here