স্পোর্টস ডেস্ক: টানা তিনটি সিরিজে বাজে ধরণের ব্যর্থতার পর যথারীতি শুরু হয়েছে এর কারণ অনুসন্ধান। পারফর্মেন্সের কাঁটাছেড়া। খুব সাধারণ চোখে দেখলেও বোঝা যাবে, দেশের মাটিতে গত তিনটি সিরিজে বাংলাদেশকে ছন্নছাড়া লেগেছে। ব্যাটে ভালো করলে বোলিংয়ে খারাপ, আবার বোলিং ভালো করলে ফিল্ডারদের ক্যাচ ছাড়ার প্রতিযোগিতা লেগেই ছিল। কিন্তু কেন এই অবস্থা হলো বাংলাদেশের? ঘরের মাঠে তো তিন মাস আগেও সত্যিকারের বাঘ ছিল তারা!
টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পর সবচেয় কঠিন কাজ অর্থাৎ সংবাদ সম্মলনে এলেন অধিনায়ক মাহমুদ উল্লাহ। টানা দুটি সিরিজ হারের পর অধিনায়কের মানসিক অবস্থা যে কী হতে পারে তা বলাই বাহুল্য। কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনি বললেন, ‘যে ভুলগুলো প্রতিনিয়ত করেছি, সেটারই মাশুল দিতে হচ্ছে। এখান থেকে বেরোতে হবে। না হলে সামনেও একই ফল পেতে হবে। নির্দিষ্ট যে পরিকল্পনা হয় মাঠে সেটা কাজে লাগাতে হবে। বোলিংয়ে উইকেট না নিতে পারলে খুব কঠিন। কিছু একটা আপনাকে করতেই হবে। আপনি রান দিতে পারেন কিন্তু উইকেট নিতে হবে।’
পুরো সিরিজেই বাংলাদেশকে একটি দল হিসেবে খেলতে দেখা যায়নি। পারফর্মেন্স খুবই ছন্নছাড়া লেগেছে। ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিক ছিলেন না কেউ। সেই প্রসঙ্গ টেনে মাহমুদ উল্লাহ বললেন, ‘আমরা ব্যাটিংয়ে বড় জুটি গড়তে পারিনি। ২০০ এর বেশি তাড়া করতে নামলে পাওয়ার প্লেতে ৬০-৭০ তুলতেই হবে। যেটা গত ম্যাচে (মিরপুরে) হয়েছে, এই ম্যাচে হয়নি। আমি খুবই হতাশ।’
অধিনায়কের কথাগুলো তো সবারাই জানা। তাহলে কেন এই অবস্থা? জবাবে কষ্টের হাসি হেসে মাহমুদ উল্লাহ বললেন, ‘আমাদের ভুল বলতে পরিকল্পনা কাজে না লাগাতে পারা। এর বাইরে কোনো ভুল দেখছি না। নিজস্ব কিছু পরিকল্পনাও থাকতে হবে, সাহসী হতে হবে। না হলে টি-টোয়েন্টি ভালো করা যাবে না। ঝুঁকি নিতে হবে। প্রতি ওভারে ১২-১৩ রান উঠছে, আবার আপনি বাড়তি কিছু করছেনও না। তাহলে কিছুই হবে না।’
প্রতিপক্ষের উদাহারণ টেনে তিনি বলেন, ‘ওদের দেখেন, পাওয়ার প্লেতে রান উঠেছে, উইকেটও তুলে নিয়েছে। আমরা পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়েছি। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ৫-৬ ওভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের রান তুলতে হবে, বোলারদের উইকেট নিতে হবে। এসব পরিকল্পনাই আমরা কাজে লাগাতে পারিনি।’