মালদ্বীপকে কড়া বার্তা ভারতের

0
104

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন দেশটিতে চলমান জরুরি অবস্থা আরো ৩০ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ভারত তাকে কড়া বার্তা দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোয় ভারত অসন্তুষ্ট হয়েছে। আর যে ভাবে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছ তা মালদ্বীপের সংবিধান পরিপন্থী।

প্রেসিডিন্ট ইয়ামিনকে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহবান জানিয়েছিল ভারত। যা ফেব্রুয়ারির প্রথমদিকে শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার মালদ্বীপের সংসদে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর বিল পাশ করার কয়েক ঘন্টা আগেও ভারত তা না করতে আহবান জানিয়েছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন তাতে কর্ণপাত করেননি।

এতে ভারত গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর ফলে মালদ্বীপে গণতন্ত্র ফিরে আসতে বিলম্ব হবে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মালদ্বীপের সরকার জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরো ৩০ দিন বাড়ানোয় আমরা গভীরভাবে হতাশ হয়েছি। আর যে ভাবে মালদ্বীপের সংসদ জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টিতে অনুমোদন দিয়েছে তাও একটি উদ্বেগের বিষয়।’

মালদ্বীপের সংবিধান মতে, নাগরিকদের ওপর কোনো বাধ্যবাধকতা আরোপ করতে চাইলে তাতে সংসদের মোট সদস্যদের অর্ধেকেরও বেশি সদস্য উপস্থিত থাকা লাগা লাগবে এবং তাদের অনুমোদন লাগবে। কিন্তু বিরোধী দল না থাকায় আব্দুল্লাহ ইয়ামিন সেই শর্ত পুরন করতে পারেননি। ফলে তিনি একতরফাভাবেই সংবিধান লঙ্ঘন করেই জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়িয়েছেন।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম মালদ্বীপে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল। এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি দেশটির সুপ্রিম কোর্ট মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ প্রত্যাহার এবং ৯ বিরোধী রাজনীতিককে মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিয়ে একটি রায় দিয়েছিল। এবং বিরোধী দলের ১২ এমপির পদ ফিরিয়ে দিয়েছিল।

আর তাতেই অসন্তুষ্ট হয়ে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন সেনাবাহিনী দিয়ে বিচারকদেরকে তার পক্ষে রায় দিতে বাধ্য করেন। এবং জরুরি অবস্থা জারি করে সংবিধান স্থগিত করেন। আর তাকে সহযোগিতার জন্য পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। এমনকি মালদ্বীপ নিয়ে ভারতকে সামনে না এগোনোরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে চীন। এমনকি চীন ইতিমধ্যেই ভারত মহাসাগরে নৌবহরও পাঠিয়ে দিয়েছে। মালদ্বীপের আশেপাশে নয়টি যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন করেছে চীন।

অন্যদিকে, মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট তার দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে ভারতের সহায়তা চেয়েছেন। মালদ্বীপের ব্যবসা বাণিজ্যে আধিপত্য বিস্তারে ভারত ও চীনের প্রতিযোগিতার ফলেই দেশটির চলমান এই রাজনৈতিক সংকটের উদ্ভব হয়েছে। চীনের মদদেই দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদকে উৎখাত করে। যিনি ভারতের প্রতি সহানুভুতিশীল ছিলেন।

সূত্র: এনডিটিভি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here