যে কোনো মূল্যে পরমাণু শক্তি অর্জন করতে চায় সৌদি আরব

0
134

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: চির প্রতিপক্ষ ইরান পরমাণু অস্ত্র বানানোর সক্ষমতার কাছাকাছি আছে। যদিও এখন দেশটিকে চুক্তির মাধ্যমে চাপের মধ্যে রেখেছে পশ্চিমা শক্তিগুলো। তবে যে কোনো মুহূর্তে সেই চুক্তি বাতিল হওয়ার শঙ্কাও আছে। তখন সাথে সাথেই নিজেদের পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে চাঙ্গা করতে পারে তেহরান।

ফলে এখন আর বসে থাকতে চাইছে না রিয়াদ। ইরানের যা আছে তার চেয়ে বেশি কিছু চাই সৌদির। ফলে যে কোনো মূল্যে একাধিক পরমাণু চুল্লি নির্মাণ করতে চায় সৌদি রাজপরিবার। পরমাণু চুল্লি স্থাপনে মরিয়া হয়ে উঠেছে সৌদি আরব।

এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চায় নিজেদের পরমাণু বাণিজ্য চাঙ্গা করতে। সৌদি আরবের আগ্রহ তাই ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে একটি লোভনীয় সুযোগ। আবার অন্যদিকে মুখিয়ে রয়েছে রাশিয়া এবং চীনও। ওয়াশিংটন যদি এক্ষেত্রে সহযোগিতা না করে তাহলে ক্রেমলিন ও বেইজিংয়ের দ্বারস্ত হতে পারে রিয়াদ।

এমন অবস্থা সৌদি ও মার্কিনীদের মধ্যে একটি পরমাণু শক্তি বিষয় চুক্তির আলাপ আলোচনা চলছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ বলছে, পরমাণু বাণিজ্যকে চাঙ্গা করতে আগ্রহী ট্রাম্প প্রশাসনের কর্তারা সৌদিকে মার্কিন কোম্পানিগুলোর বাইরে কাউকে এ কাজে যুক্ত না করতে বলেছেন।

এদিকে তিনটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা পরমাণু চুল্লি নির্মাণে সৌদি আরবের হয়ে ওয়াশিংটনে লবিস্ট হিসেবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন বিষয়ে সৌদি শাসকদেরকে পররামর্শ দিয়েছেন।

তিনটি প্রতিষ্ঠানের একটি হচ্ছে পিলসবুরি উইনথ্রপ শাও পিটম্যান এলএলসি। গত ২০ ফেব্রুয়ারি মার্কিন বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া কাগজপত্রে কোম্পানিটি জানিয়েছে, তারা সৌদি আরবের বিদ্যুৎ, বাণিজ্য ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে ঘণ্টাপ্রতি ৮৯০ ডলার (৭০ হাজার টাকা) এর বিনিময়ে আইনি পরামর্শ দিয়ে আসছে। মূলত দুই দেশের মধ্যে চলমান পরমাণু বিষয়ক চুক্তির নানা দিক ও পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার বিষয়ে এসব পররামর্শ দেয়া হয়।

কিং এন্ড স্পলডিং এলএলপি নামে আরেকটি কোম্পানি জানিয়েছে, তারা প্রাথমিক ৩০ দিনের চুক্তি অনুযায়ী সৌদি কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে সাড়ে ৪ লাখ ডলারের (প্রায় ৪ কোটি টাকা) বিনিময়ে।

সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, পরমাণু কর্মসূচি গ্রহণে সৌদির ইচ্ছার পেছনে শুধু জ্বালানি ব্যবহারের উদ্দেশ্য নয়, বরং তার চেয়েও বেশি কিছু অর্জনের ইচ্ছার বিভিন্ন নিদর্শন দেখা যাচ্ছে। পত্রিকাটি মূলত, সৌদির পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির মনোভাবের প্রতি ইঙ্গিত করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here