বিপজ্জনক রাসায়নিক বোমায় সাবেক গোয়েন্দাকে হত্যাচেষ্টা

0
115

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে বসবাসরত পক্ষত্যাগী সাবেক রুশ গুপ্তচর ও তার মেয়েকে হত্যাচেষ্টায় যে বোমা ব্যবহৃত হয়েছে, তা এখন পর্যন্ত নির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক রাসায়নিক বোমা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের তদন্তকারীরা তাদের হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত নার্ভ এজেন্টটি সনাক্ত করেছেন, এটি নভিচক নামে পরিচিত।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অত্যন্ত বিপজ্জনক এ রাসায়নিকটি সাধারণত কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী তৈরি করতে পারে না। বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনী এটি নিয়ে গবেষণা করে, যাদের মধ্যে রাশিয়া রয়েছে।

এদিকে পক্ষত্যাগী সাবেক রুশ গুপ্তচর ও তার মেয়েকে হত্যাচেষ্টার পেছনে ‘খুব সম্ভবত মস্কো জড়িত’ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। হামলায় ব্যহৃত নার্ভ এজেন্টটি সনাক্ত করা হয়েছে, এটি নভিচক নামে পরিচিত বলে জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

সোমবার পার্লামেন্ট সদস্যদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন, স্ক্রিপাল ও তার মেয়ের ওপর যে নার্ভ এজেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে, তা রাশিয়ায় বানানো সামরিক ঘরানার।

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে রুশ রাষ্ট্রদূতকে তলবও করেছে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তর।

গত ৪ মার্চ ইংল্যান্ডে সলসবেরির উইল্টশায়ারে একটি পার্কের বেঞ্চে পক্ষত্যাগী সাবেক রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার মেয়ে ইউলিয়াকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাদের ওপর নার্ভ গ্যাস ব্যবহার করা হয়েছিল বলে পরে পুলিশ নিশ্চিত করে।

এর আগে সের্গেই স্ক্রিপাল ও তার কন্যাকে হত্যার চেষ্টা প্রমাণিত হলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নেবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। ইতোমধ্যেই এ হামলার পেছনে রাশিয়ার হাত আছে বলে অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে যুক্তরাজ্য।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নিশ্চিত না হলেও কূটনৈতিক বহিষ্কার কিংবা অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

এর আগে নার্ভ গ্যাস হামলার ঘটনা প্রকাশিত হলে তারা যেখানে অসুস্থ হয়েছেন, সেই সলসবারি শহরে ও ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী তলব করা হয়। ব্রিটিশ সেনাবাহিনী, রয়েল নেভি ও রয়েল এয়ার ফোর্সের বিশেষজ্ঞদের ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে দেখা যায়। সেখানে অন্তত ১৮০ জন সামরিক বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।

যুক্তরাজ্যের হয়ে চরবৃত্তির দায়ে রাশিয়ায় দোষী সাব্যস্ত হন স্ক্রিপাল। পরে তিনি যুক্তরাজ্যে আশ্রয় পান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here