গোপালগঞ্জে বাস খাদে পড়ে নিহত ৮, আহত ২৯

0
99
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে যাত্রীবাহী নৈশকোচ নিয়ন্ত্রণ  হারিয়ে খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে আটজন হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ২৯ জন। আহতদের প্রথমে  ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

সিনদিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মো. ইসলাম সরকার ঘটনাস্থল থেকে জানান, বরিশাল থেকে ছেড়ে আসা সুগন্ধা পরিবহণের ওই বাসটি মুকসুদপুরের চুমুরদি নামক এলাকায় শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে খাদে পড়ে যায়।

নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন বরগুনা জেলার সদর উপজেলার আমতলী গ্রামের হাসান মিয়া (২৫) ও বরিশালের অসীম মাঝি (৪০)ও বরিশালের আগোলঝাড়া উপজেলার বাগদা গ্রামের মাখন বিশ্বাসের ছেলে দিপন বিশ্বাস। নিহত বাকিদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া আহতদের উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আশপাশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

মুকসুদপুর থানার ডিউটি অফিসার এএসআই আ. গফুর জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশসহ দমকল বাহিনীর লোকজন উদ্ধার তৎপরতা শুরু করে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বরিশালগামী সুগন্ধা পরিবহনের একটি নৈশকোচ মুকসুদপুর উপজেলার বরইতলা পৌঁছালে চালক এর নিয়ন্ত্রণ হারায়। এ সময় বাসটি রাস্তার পাশে খাদে পড়ে গেলে এটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এতে  ঘটনাস্থলেই বাসের ছয় যাত্রী নিহত ও অন্তত ৩১ যাত্রী আহত হন। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এজাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করি। সেখান থেকে ছয়টি লাশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে হাসপাতালে আরো দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের  মধ্যে দুইজনের পরিচয় পেয়েছি। বাকি লাশের পরিচয় পাওয়া গেলে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

উল্লেখ্য, খবর পেয়ে পুলিশসহ গোপালগঞ্জ, ভাঙ্গা ও মুকসুদপুর  ফায়ার সার্ভিসের চারটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে হতাহতদের উদ্ধার করে। এরপর রোববার সকাল ৭টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষ হয়। দুঘর্টনাকলিত বাসটিতে আর কোনো মৃতদেহ পাওয়া যায়নি। তবে বাসের চালক ও হেলপারকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here