সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার পর বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। আদালতে আসামিদের পক্ষে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন করেন আইনজীবী ইয়ারুল ইসলাম।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা মামলায় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম ১০ জঙ্গির সর্বোচ্চ শাস্তি দেন। এ ছাড়া চার আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন অাদালত।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ২০শে জুলাই কোটালীপাড়ার একটি স্কুলের পাশে তখনকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের জন্য মঞ্চ নির্মাণের সময় মাটিতে পুঁতে রাখা ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পাওয়া যায়। পরদিন ৮০ কেজি ওজনের আরও একটি বোমা উদ্ধার করা হয় কোটালীপাড়ার হেলিপ্যাড থেকে। তার এক দিন পর নিজের নির্বাচনী এলাকায় দাদার নামে প্রতিষ্ঠিত ওই কলেজ মাঠে জনসভায় শেখ হাসিনার ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল।ওই ঘটনায় কোটালীপাড়া থানার পুলিশ বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছিলেন।তদন্ত শেষে ২০০১ সালের ৮ই এপ্রিল নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ বা সিআইডি।এরপর ২০১০ সালে গোপালগঞ্জ আদালত থেকে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।