আইপিএল-এ যৌন পণ্য হয়েই মাঠে নামতে হয় চিয়ারলিডারদের’

0
441
‘লিডিং উইথ চিয়ার’। সৌজন্যে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। মাঠে থাকা দর্শকরা তো বটেই, চিয়ারলিডারদের নাচে-উচ্ছাসে মাত হয় ড্রয়িং রুমের দর্শকও। তবে আইপিএল অর্থনীতি এবং দর্শকরা যেভাবে চিয়ারলিডারদের সংজ্ঞায়িত করেন, একজন চিয়ারলিডারের অভিজ্ঞতা এবং অনুভব কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন। চিয়ারলিডাররা তাঁদের এই পেশাকে ঠিক কী চোখে দেখেন? তাঁদের আইপিএল-এর অভিজ্ঞতাই বা কেমন? (খেলার সময় যারা নেচে গেয়ে মাঠে উপস্থিত দর্শকদের আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করেন তাদেরকে বলা হয় চিয়ারলিডার্স)।

‘মেনস এক্সপি’ নামের এক ওয়েবসাইটে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পেশাদার চিয়ার লিডার বলেন, “বাইরের দেশে যখন কোনও মহিলা নৃত্যশিল্পী নাচেন, তখন তার শরীর কিংবা তিনি কী পোশাক পরেছেন সেটা নিয়ে কেউ এতটা ভাবেই না। এখানে চিয়ারলিডারদের যৌন পণ্য হিসাবেই দেখা হয়”। আরেক ভিন দেশি চিয়ারলিডারের কথায়, “আমি একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম। কিন্তু দেখছি, আমি এখানে যৌন পণ্য ছাড়া আর কিছুই নই।”

খেলার চিয়ার লিডারদের প্রতি মাঠে আইপিএল দর্শকদের আচার ব্যবহার কেমন? এই প্রশ্নের উত্তরে এক চিয়ারলিডার বলেন, “মাঠে অনেক দর্শকই এমন অঙ্গভঙ্গি করে এবং এমন এমন মন্তব্য করে যা হজম করা সহজ হয় না। তবে এরিয়ে যেতে বাধ্য হই আমরা। মানুষের স্বভাবজাত আচরণের কথা ভেবেই আমি তাদের ক্ষমার চোখে দেখি।” এরপরই তিনি বলেন, “অবস্থার পরিবর্তন না হলে এখানে আর আসব না।”

চিয়ারলিডিং পেশায় যারা যুক্ত হতে চান তাঁদেরকেও এই পেশা থেকে দূরে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন ওই চিয়ারলিডার। আর যদি কাউকে চিয়ারলিডার হতেই হয়, তাহলে অবশ্যই নাচ নিয়ে পড়াশুনা করেই পা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কারণ, সে ক্ষেত্রে এই পেশা হতাশ করলে, পেশাদার নৃত্যশিল্পী হিসাবে জীবন যাপন করা যেতে পারে।

এখানেই শেষ নয়, আইপিএলে বর্ণবৈষম্যের মতো বিষয় নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। কেন কেবল সাদা চামড়ার মেয়েদের ছোট ছোট জামা পরিয়ে নাচতে বলা হয়, এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here