আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে গৌরবময় দিনটিতে বাগড়া দিয়েছিল বৃষ্টি। শুক্রবার ডাবলিনের ম্যালাহাইড পার্কে পাকিস্তানের বিপক্ষে তাদের অভিষেক টেস্টের প্রথম দিনটি বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ায় সাদা পোশাকের ক্রিকেটের স্বাদ পেতে আইরিশদের অপেক্ষা আরেকটু দীর্ঘায়িত হয়।
শনিবার সকালে ডাবলিনের রোদ্রোজ্জ্বল আকাশ টেস্টে তাদের আনন্দময় এক অভিষেকের আভাস দিচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত সাদা পোশাকের ক্রিকেটে আইরিশদের অভিষেকটা হল রঙিনই। শুরুটা টস জয়ের মধ্য দিয়ে।
এরপর পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ম্যালাহাইডের সবুজ গালিচায় আগুন ঝরালেন আইরিশ পেসাররা। টিম মারটাগ ও বয়েড র্যানকিনের তোপের মুখে মাত্র ১৩ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় পাকিস্তান। অভিষেক টেস্ট হওয়ায় এই ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের সবকিছুই ইতিহাসের অংশ হয়ে যাবে।
সরফরাজ আহমেদের সঙ্গে টস করতে নেমেই যেমন ইতিহাসে ঢুকে যান আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড। প্রথম ওভারটি করেন মারটাগ। প্রথম উইকেট র্যানকিনের। প্রথম ক্যাচ পোর্টারফিল্ডের। অষ্টম ওভারের শেষ বলে আজহার আলীকে (৪) দ্বিতীয় স্লিপে পোর্টারফিল্ডের ক্যাচ বানিয়ে প্রথম আঘাত হানেন র্যানকিন।
টেস্টে এটি আয়ারল্যান্ডের প্রথম উইকেট হলেও র্যানকিনের নয়! ২০১৪ সালে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলা একমাত্র টেস্টেই উইকেটের স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। পরের ওভারের প্রথম বলেই পাকিস্তানের অভিষিক্ত ওপেনার ইমাম-উল-হককে (৭) এলবিডব্ল–র ফাঁদে ফেলেন মারটাগ।
প্রথম সেশনে আর কোনো উইকেট না হারিয়ে মাত্র ৬৭ রান তুলতে পারে পাকিস্তান। দ্বিতীয় সেশনে হারিস সোহেল ও আসাদ শফিকের প্রতিরোধ ভাঙতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিকদের। ৩১ রান করে স্টুয়ার্ট থম্পসনের শিকার হয়ে ফেরেন হারিস। ফিফটি করা শফিককে ৬২ রানে থামান র্যানকিন।
বাবর আজম (১৪) ও অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদও (২০) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫২ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ছয় উইকেটে ১৫৯ রান। আয়ারল্যান্ডের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন র্যানকিন, মারটাগ ও থম্পসন।