বলিউডে নারীকেন্দ্রিক ছবির মুখ বলা হয় যাকে তিনিই হলেন অভিনেত্রী বিদ্যা বালান। যিনি একজন ভারতীয় মডেল ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। তিনি বলিউড চলচ্চিত্রে কর্মজীবন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি বাংলা, তামিল, মালয়ালম এবং হিন্দি ভাষার চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। মুম্বাই থেকে ফোনে আনন্দ বাজার পত্রিকায় এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অভিনেত্রী বিদ্যা বালান ।

জীবনের কোন সাফল্যগুলো দেখে মনে হয় যে, মেয়ে হিসেবে আপনি কোনও অংশে কম নন এমন প্রশ্নে বিদ্যা বলেন, ‘শুধু নিজেকে নয়, চারপাশের মহিলাদের দেখেও সব সময়ে মনে হয়, মেয়েরা কোনও অংশে পুরুষের চেয়ে কম নন। নারীকেন্দ্রিক ছবিই আমি বেশি করি। তবে কেউ যখন জিজ্ঞেস করত, কী ভাবে দশ দিক সামলাই, মনের মতো উত্তর পেতাম না। একটা ক্যাম্পেনের অংশ হয়ে যেন উত্তরটা খুঁজে পেয়েছি, ‘একাই একশো।’

মেয়েদের শরীর নিয়ে সমাজের অনেক ধারণা রয়েছে এ বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘মেয়েদের শরীর নিয়ে সমাজের এত মাথাব্যথা, কারণ শরীরের উপর জোর খাটিয়ে মেয়েদের নিয়ন্ত্রণ করা হয়। নারীর শরীর ‘কালচারাল সিম্বল’ হলে পুরুষের শরীরও সেই কালচারের বাইরে নয়। কিন্তু সমাজ তা শেখায় না। এটা পিতৃতন্ত্রেরই একটা হাতিয়ার। মহিলাদের মন-সত্তা-শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করে পুরুষ আধিপত্য বজায় রাখতে চায়।’

‘আইটেম সং’-এ মেয়েদের উপস্থাপনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এমন পরিস্থিতির মধ্যে কখনও পড়িনি। এই বিষয়ে মন্তব্য করলে যাঁরা এমন নাচ করেন, তাঁদের কাজ নিয়ে একটা মতামত দেওয়া হবে। সেটা আমি চাই না। তবে আমার মতে, আইটেম সং সবচেয়ে সহজ নিশানা। বছরের পর বছর ধরে যে ধরনের রোম্যান্টিক গান তৈরি হয়েছে, তাতেও মেয়েরা পণ্যের মতোই। মেয়েদের পিছু করাকে মহৎ করে দেখানো হয়েছে। তবে কিছুটা হলেও ছবিটা বদলেছে বলে মনে হয়। এখনকার ছবিতে মেয়েদের যে ভাবে দেখানো হচ্ছে, সেটা কিন্তু চিরাচরিত মেল গেজ়ের বাইরে।’

অভিনেত্রী না হলে কী হতেন এমন প্রশ্নে নায়িকা বলেন, ‘ভাগ্যিস অভিনেত্রী হয়েছিলাম! না হলে কী হতাম জানি না। আমার কোনও প্ল্যান বি ছিল না।’

অভিনয় জীবনে তিনি এ যাবৎ বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছেন, যার মধ্যে একটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার এবং পাঁচটি স্ক্রিন পুরস্কার অর্ন্তভুক্ত রয়েছে। ২০১৪ সালে ভারত সরকার কর্তৃক তাকে দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করা হয় অভিনেত্রী বিদ্যা বালানকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here