ওপেনে নেমে শেষ পর্যন্ত খেললেন ওয়াটসন। তুলেন মৌসুমের দ্বিতীয় শতক। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে গেলেন সুরেশ রায়না। সেই যুগলবন্দীতে হায়দরাবাদকে ৮ উইকেটে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হল চেন্নাই সুপার কিংস।
সিএসকে এর আগে তাদের তিনটি ফাইনাল ২০১২, ২০১৩ এবং ২০১৫তে হেরেছে। ২০১০ এবং ২০১১ সালে ব্যাক-টু-ব্যাক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এবারই প্রথম শিরোপা জিতল তারা।

চেন্নাই সুপার কিংস এদিন টস জিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে আগে ব্যাট করতে পাঠায়। দলটি ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান সংগ্রহ করে। সাকিব ব্যাট হাতে ২৩ করেন। কোনো উইকেট পাননি।

জবাব দিতে নেমে চেন্নাই উইকেট হারায় চতুর্থ ওভারের শেষ বলে। আগের ম্যাচে ৬৭ রান করা ফাফ ডু প্লেসিসকে (১০) এদিন দ্রুত ফিরিয়ে দেন সন্দীপ শর্মা। দারুণ এক স্লোয়ার ডেলিভারিতে নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নেন।

ম্যাচ ধরে ফেলেন সুরেশ রায়না এবং ওয়াটসন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে ১১৭ রান যোগ করেন। ওয়াটসন ৩৩ বলে অর্ধশতক করার পর ৫১ বলে শতক হাঁকান।

শেষ আট ওভারে জয়ের জন্য চেন্নাইয়ের দরকার ছিল ৭৫ রান। ওয়াটসন ১৩তম ওভারে সন্দীপ শর্মার কাছ থেকে নেন ২৭ রান।

১৪তম ওভারে ওয়াটসনকে রেখে ফিরে যান সুরেশ রায়না। রায়না ২৪ বলে ৩২ করে যান।

শেষ তিন ওভারে ওয়াটসনদের দরকার ছিল ১৩ রান। সেটি ৯ বল হাতে রেখে নিয়ে নেন দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান ওয়াটসন এবং রাইডু। ওয়াটসন ৫৭ বলে ১১৭ করে অপরাজিত থাকেন। চার হাঁকান ১১টি, ছয় আটটি।

এর আগে হায়দরাবাদ গোস্বামীকে (৫) দ্রুত হারালেও ধাওয়ান এবং উইলিয়ামসন ঘুরে দাঁড়ানোর ভিত আনেন। দুজনে ৫১ রান যোগ করেন। ২৫ বলে ২৬ করে ধাওয়ান ফিরলে ভাঙে জুটি।

সেখান থেকে উইলিয়ামসনকে নিয়ে পরের ধাপটা পার করেন সাকিব। দুজনে যোগ করেন ৩৭ রান। অধিনায়ক উইলিয়ামসন ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৩৭ বলে ৪৭ রানে পথ ধরেন।

সাকিব তখনও ছিলেন। পাঠানকে নিয়ে ৩২ রানের আরেকটি ছোট কিন্তু কার্যকরী জুটি গড়েন। ২ চার ও এক ছক্কায় ১৫ বলে ২৩ রানেই থেমে যায় তার ইনিংসটি। বলা ভাল থামিয়ে দেন সুরেশ রায়না। দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন তিনি।

ইউসুফ চালিয়ে যান শেষ পর্যন্ত। অপরাজিত থাকেন ৪৫ রানে। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ২৫ বলের ঝড়ো ইনিংস তার। শেষে ব্র্যাথওয়েট ৩ ছয়ে ১১ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here