মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছে। হাইকোর্ট জামিন দিলেও তাকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না। মুক্ত করতে হলে আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির।

তিনি বলেন, কোনো স্বৈরাচারী সরকারকে সরানোর জন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। জনগণের সম্পৃক্ত ছাড়া কোনো আন্দোলন সফল হয় না। তাই জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

সোমবার (২৮ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুসহ গ্রেফতারকৃত সকল রাজবন্দীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক সমাবেশ এ তিনি এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে হবে। কীভাবে প্রতিদিন মানুষ হত্যা করা হচ্ছে! এতো রক্ত ১৯৭১ সালের পর আর ঝরেনি, এটা কল্পনা করা যায় না। একটি সভ্য দেশে এভাবে বিনা বিচারে মানুষ হত্যা করা হবে তা কল্পনা করা যায় না। কে মাদক দ্রব্য সেবন করে, কে ব্যবসা করে সেটা কথা নয়। যাদের হত্যা করা হচ্ছে তারা বিচার পাচ্ছে না কেন?

তিনি বলেন, কক্সবাজারের একজন কমিশনারকে হত্যা করা হয়েছে। তিন বার তিনি কমিশনার নির্বাচিত হয়েছেন। হাজারো মানুষ সেখানে জানাজায় অংশ নিয়েছে। সবাই বলছে নিরপরাধ একজনকে হত্যা করা হয়েছে। তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্নারকলিপিও দিবে।

ফখরুল বলেন, এর দ্বারা বুঝা যায় এটা শুধু মাদকবিরোধী অভিযান নয়। এতে কোনো ষড়যন্ত্র আছে। একটার পর একটি ষড়যন্ত্র করেই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে আছে।

তিনি বলেন, আনন্দবাজার পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে যে, আসন্ন নির্বাচনে ভারতের সাহায্য চেয়েছেন শেখ হাসিনা। এই খবর যদি সত্য হয় তাহলে কি এই দেশ স্বাধীন আছে? তাহলে কি দেশকে অঙ্গরাজ্য বানাতে চায় সরকার?

এই ভয়াবহ দানব যে আমাদের বুকের ওপর এসে পড়েছে, তাকে সরাতে হবে। আমরা যদি আজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে সরাতে না পারি তাহলে জাতি আমাদেরকে ক্ষমা করবে না’ বলেন ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের প্রতীক। নির্বাচন অবশ্য দিতে হবে। সেটা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং জনগণের ভোটের নিরাপত্তার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here