বর্তমানের সেরা ফুটবলার কে? এক বাক্যে অধিকাংশই বলবেন লিওনেল মেসি, রোনালদো কিংবা নেইমারের নাম? কারণ মাঠে তাদের জাদুকরি খেলা দেখে যে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। এদের মধ্যে এগিয়ে আর্জেন্টইন তারকা। তাই তো দুর্বল কোনো দেশের বড় তারকাকে দেশটির অনেকেই মেসি বলেই ডাকেন। সরদার আজমুন তেমনই একজন।

মেসির তকমা পাওয়া সরদার আজমু ইরান জাতীয় দলের হয়ে ৩২ ম্যাচে করেছেন ২৩ গোল। গত বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম গোল ছিল ইরানের, মাত্র ৮টি। আর এবার রাশিয়া বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আজমুনের একারই ১১টি গোল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিশ্বকাপে তার জাদুকরি ফুটবল দেখতে পাবে পুরো বিশ্ব।

রাশিয়ান ক্লাব রোস্তভের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগেই নিজের ঝলক দেখিয়েছেন এই ইরানিয়ান। ২০১৬-১৭ মৌসুমে গ্রুপ পর্বে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-২ গোলে হারায় রোস্তভ। সেই ম্যাচের অন্যতম সেরা পারফরমার ছিলেন আজমুন। ইউরোপের অনেক তারকা ক্লাব তাকে পেতে আগ্রহ দেখিয়েছে, কিন্তু দুইয়ে দুইয়ে শেষ পর্যন্ত চার হয়নি। তবে বিশ্বকাপে স্বরূপে ফিরতে পারলে চাহিদার তুলনায় আরও ভালো ক্লাব পেতে পারেন আজমুন- তা যে আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

কিন্তু সেটা পরের কথা। পর্তুগাল, স্পেন, মরক্কোর গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোতে জায়গা পেতে ইরানিরা তাকিয়ে আজমুনের দিকে। এখন সময়ই বলে দেবে তিনি ইরানিদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবেন কিনা। যদিও এই মুহূর্তে তাঁকে এশিয়ার সেরা স্ট্রাইকারও বলা হচ্ছে। ‘ইরানিয়ান মেসি’ খ্যাতি পেয়েছেন তো আরো আগেই। জাতীয় দলের হয়ে তাঁর গোল করার হারই বলছে তাঁকে নিয়ে সব। ইরানের ফুটবল ইতিহাসে এ পর্যন্ত যা সর্বোচ্চ। ১০৯ গোল করা আলী দায়িকেও একসময় ছাড়িয়ে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইরানিদের দাবি, আজমুন এমন একজন ফরোয়ার্ড, যিনি দৌড়ান মেসির মতো আর হেড করেন জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের মতো। কিন্তু পার্থক্য হলো তিনি রাশিয়ান ক্লাব রুবিন কাজানে খেলেন। তাই তো তাদের সেরা খেলোয়াড় খেলেন না ইউরোপের শীর্ষ কোনো লিগে বড় কোনো ক্লাবে খেলেন বলে আক্ষেপে। যদিও তাঁদের বিশ্বাস এবারের বিশ্বকাপ দিয়েই আজমুন তার ঠিকানা বদলে ফেলবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here