বিএনপি যত কিছুই বলুক না কেন, তারা অস্তিত্ব রক্ষার জন্য হলেও নির্বাচনে আসবে।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কতৃক আয়োজিত ঐতিহাসিক ৭ জুনের ৬ দফা দিবসের আলোচনা সভায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আগামী নির্বাচনে একটি অবাদ, সুষ্ঠু ও নিরেপেক্ষ এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেবে নির্বাচন কমিশন। বিএনপি যত কথাই বলুক না কেন, তাদের দাবির তালিকা যত লম্বাই হোক না কেন আমরা মনে করি তারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবেই তাদের অস্তিত্ব রক্ষার স্বার্থে। তারপরেও তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। আমাদের প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, দেশের গণতন্ত্র হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। ১/১১ কুশিলবরা এখনও সক্রিয় আছে। তাদের সাথে গাটছড়া বেঁধে বিএনপি আজকে ষড়যন্ত্র করছে। এদের বিষ দাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে।

খাদ্য মন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারের নেতৃত্ব জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। নির্বাচন হবে এজন্য কোন সংলাপ বা আলোচনার প্রয়োজনের সুযোগ নাই। তারা আজকে বলার চেষ্টা করে নির্বাচনকালীন সময় বলে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই। লেবেল প্লেইং ফিল্ড তৈরির নামে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে এমন কোন সুযোগ নাই।

তিনি বলেন, যারা দুর্নীতিকে লালন করে, সন্ত্রাস , মাদকে আশ্রয় দেয় তাদের সাথে কিসের আলোচনা। আপনারা নির্বাচনে আসবেন কি আসবেন না সেটা আপনাদের ব্যাপার । বিএনপি নির্বাচনে না আসলেও নির্বাচনে দলের অভাব হবে না। বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনে আসবে নাকি আসবে না সেটা আপনাদের ব্যপার। বেগম জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে কিনা সেটা আদালতের বিষয় এখানে আমাদের কিছু করার নাই। বাংলাদেশে নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করল কিনা সেটাই মুখ্য বিষয়। আমরা বিশ্বাস করি আগামী নির্বাচনে দেশের জনগণ আগামীতে একটি আনন্দগন সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছে। অনেকেই নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করেন নির্বাচন হতে দেবেন না আন্দোলনে হুমকি দেন আপনাদের আন্দোলনের দৌরাত্ম কতটুকু তা আমাদের জানা আছে। ২০১৪ সালে আগুন, সন্ত্রাস করে ছিলেন এবারও যদি তা করতে চান তাহলে দেশের জনগণ আপনাদের সমুচিৎ জবাব দেবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here