কুমিল্লায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে আপিল আবেদনের শুনানি পিছিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দুইপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানির জন্য দুপুর ১২টা সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে মামলাটি শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ৩ নম্বর ক্রমিকে ছিল। পরে শুনানির জন্য এলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতে হাজির হতে না পারায় সময় চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী। এ সময় আদালত অন্য মামলায় শুনানি শুরু করেন।
কিন্তু অন্য মামলার শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুববে আলম অন্য কোর্টে মামলা শুনানির জন্য যান। এর কিছুক্ষণ পরেই অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন শুনানির জন্য আদালতে উপস্থিত হলেও তখন অ্যাটর্নি জেনারেলে এ কোর্টে উপস্থিত ছিলেন না। ফলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা অ্যাটর্নি জেনারেলের উপস্থিতির জন্য সময় আবেদন করেন। পরে আদালত শুনানির জন্য দুপুর ১২টা সময় নির্ধারণ করেন।
প্রসঙ্গত, ২০ দলীয় জোটের অবরোধ চলার সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে বাসে দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া পেট্রোল বোমার ঘটনায় ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি পুলিশ বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
এরপর এই বছরের গত ২৮ মে কুমিল্লার একটি আদালতে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। ওই আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ৮ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন বিচারিক আদালত। কিন্তু তার আগেই ওই আদেশের বিরুদ্ধে গত ৫ জুন হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এরর পরিপ্রেক্ষিতে আবেদনটি শুনানির জন্য বৃহস্পতিবারের (৭ জুন) কার্যতালিকায় এলো।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই তাকে ওই দিন বিকালে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি কারাবন্দি।
সুত্র: বাংলা ট্রিবিউন