আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে এক লাখ ২১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। এই ঘাটতির একটি অংশ মেটানো হবে ব্যাংকের ঋণ দিয়ে, আর বাকিটা ধরা হয়েছে বৈদেশিক সহায়তা বা ঋণ হিসেবে।

বৃহস্পতিবার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে এই বিষয়টি নির্ধারণ করা হয়েছে। চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা। আর রাজস্ব আয় প্রাক্কলন করা হয়েছে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। ফলে মোট ঘাটতি থাকছে ১ লাখ ২১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা।

এই ঘাটতি মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির ৪.৯ শতাংশ। ঘাটতি জিডিপির পাঁচ শতাংশের নিচে থাকলে তাকে গ্রহণযোগ্য বলেই মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। অর্থমন্ত্রীও বলছেন, তিনি এটি পাঁচ শতাংশের নিচেই রাখতে চান।

বাজেটে ব্যয় মেটাতে সরকারি অনুদানসহ আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে তার মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) যোগান দেবে ২ লাখ ৯৬ হাজার ২০১ কোটি টাকা। এনবিআর বহির্ভূত সূত্র হতে কর রাজস্ব প্রাক্কলন করা হয়েছে ৯ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা। এছাড়া কর-বহির্ভূত খাত থেকে রাজস্ব আহরিত হবে ৩৩ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছরে এনবিআরের সংশোধিত রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৫৯ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা। সেই হিসাবে আগের বছরের চেয়ে ৩৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি যোগান দিতে হবে সংস্থাটিকে।

সরকারের অর্থায়নে ঘাটতি মোকাবেলায় অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা থেকে ঋণ ধরা হয়েছে ৭১ হাজার ২২৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংক থেকে নেয়া হবে ৪২ হাজার কোটি টাকা। বাকি টাকা আসবে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে। আর বাটি টাকা আসবে বিদেশি ঋণ ও সহায়তা হিসেবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here