তিনি বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে অজ্ঞান হয়ে ৫-৭ মিনিট পড়েছিলেন। আর এ বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ কিছুই জানে না। এ থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে কারাগারে খালেদা জিয়া কতখানি অবহেলার শিকার। কারা কর্তৃপক্ষ মূলত সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে বলেই নেত্রীর গুরুতর অসুস্থতার বিষয়ে ভ্রুক্ষেপহীন থাকছে।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা শোনার পরও তাৎক্ষণিক সুচিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ না করা কোনো গভীর চক্রান্ত কিনা এ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সিনিয়র এ নেতা।
রিজভী আরো বলেন, সরাষ্ট্রমন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য নেত্রীর চিকিৎসা নিয়ে টালবাহানারই নামান্তর। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসকবৃন্দ যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা বলেছেন তা পিজি হাসপাতালে সম্ভব নয়। আর তা ছাড়া তার সুচিকিৎসায় চিকিৎসকরা যেসব পরামর্শ দিয়েছিলেন সেগুলোও বাস্তবায়িত হয়নি। তার চিকিৎসা ব্যবস্থায় বিলম্বের কারণে যদি বড় কোনো ক্ষতি হয়ে যায়, তাহলে সে দায়ভার সরকারকেই বহন করতে হবে বলেও হুশিয়ারি দেন তিনি। পাশাপাশি ঈদের আগেই বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির জোর দাবি জানান এ সংবাদ সম্মেলনে।
বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে অবহেলা করা হচ্ছে
‘কারাগারে বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ অবগত নয়’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যেই পরিষ্কার হয়ে গেল যে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও অসুস্থতা নিয়ে কতটা অবহেলা করা হচ্ছে। আজ নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ে এক সাংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।