মোফাজ্জল করিম

ধর্মকর্ম পালনের কথা মনে হলেই চেতনায় একটা ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ জীবনের ছবি ভেসে ওঠে আমাদের। সে জীবন যেন আনন্দ-হাসিখুশি-বিনোদনবিবর্জিত একটি জীবন, যেন শুধু প্রার্থনায় নিমগ্ন হয়ে কায়মনোবাক্যে সৃষ্টিকর্তার উপাসনার জন্য নিজেকে নিবেদন করার জীবন। এক অর্থে কথাটি হয়তো ঠিকই। জীবনের সব সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত করে প্রার্থনার সময়টুকুতে সম্পূর্ণরূপে নিজেকে পরম করুণাময়ের কাছে সমর্পণ করার নামই তো উপাসনা। ‘দ্যুলোকে-ভূলোকে সবারে ছাড়িয়া/তোমারই চরণে পড়ি লুটাইয়া/তোমারই সকাশে যাচি হে শকতি/তোমারই করুণাকামী’ : (গোলাম মোস্তফা)। লক্ষণীয়, আমি বলেছি শুধু ‘প্রার্থনার সময়টুকুতে’ নিজেকে জীবন-জগত থেকে মুক্ত করার কথা, সব কিছু ছেড়ে-ছুড়ে সারাক্ষণ সংসার বিবাগী সন্ন্যাসী হয়ে থাকার কথা বলিনি। কোনো ধর্মই বলে না সংসারধর্ম পালন না করে বৈরাগ্য সাধনায় জীবন কাটিয়ে দিতে। তেমনটি হলে তো পুরো সৃষ্টিই অচল হয়ে পড়বে। স্বাভাবিক জীবন যাপন করে, সৃষ্টির রূপরসগন্ধ, নিয়মকানুন ও ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্যে থেকে উপভোগ করার পাশাপাশি ধর্মকর্ম পালন করাই তো জীবন। সব ধর্মের সারকথাই তাই। সমাজ-সংসারের প্রতি দায়িত্ব পালন না করে কেবল ঐশ্বিক চিন্তায় ডুবে থাকতে বলে না কোনো ধর্ম। আবার তার উল্টোটাও, অর্থাৎ জাগতিক বিষয়াদিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে, ধর্মকর্মকে পুরোপুরি অস্বীকার করে নাস্তিক জীবনযাপনও সব ধর্মেই নিষিদ্ধ। সংসারজীবন ও ধর্মীয় জীবনের মধ্যে সমন্বয় করে চলাই মনুষ্যজীবন।

দুই.

পুরো রমযান মাসের সিয়াম সাধনার পর আসছে ঈদ—ঈদুল ফিতর। ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে উৎসব। পুরো রমযান মাস আল্লাহপাকের নির্দেশে, তাঁরই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখে, কঠিন সংযমের মধ্য দিয়ে কাটিয়ে, শাওয়াল মাসের প্রথম দিন উদ্যাপিত হয় ঈদুল ফিতর। সেদিন সারা মুসলিম জাহানে নেমে আসে খুশির জোয়ার। ওই দিনটি মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসবের দিন।

মুসলমানদের যেমন সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতর, খ্রিস্টানদের তেমনি সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান যীশুখ্রিস্টের জন্মদিন, বড়দিন বা ২৫ ডিসেম্বর। বাঙালি হিন্দুদের বড় উৎসব দুর্গোৎসব বা দেবী দুর্গার পূজা। সব ধর্মেরই একটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব আছে। আমাদের দেশে বৌদ্ধরা পালন করেন বৌদ্ধ পূর্ণিমা। এই সব অনুষ্ঠানই সব দেশে, সব সমাজে সার্বজনীন বা বারোয়ারি অনুষ্ঠান। এমন নয় যে শুধু যারা সমাজের উঁচু স্তরের লোক তারাই এসব উৎসব পালন করবে, নিচু শ্রেণীর মানুষ বা গরিব-গুর্বোরা এর ধারে-কাছেও যেতে পারবে না। বিশেষ করে ইসলাম ধর্ম, যেখানে জাত-পাতের স্থান নেই, ধনী-গরিবের মধ্যে কোনো বৈষম্যকে স্বীকার করে না যে ধর্ম, সেখানে তো বারো মাসই মসজিদে বা ঈদের জামাতে সবচেয়ে গরিব-মিসকিন মানুষটিও সবচেয়ে ধনী বা শক্তিধর ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়ে নামায আদায় করতে পারে। এখানে একটা বাস্তব সত্যের কথা অবশ্যই উল্লেখ করতে হয়। ধনী-গরিব, উচ্চ-নিচ সবাই এক কাতারে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মসজিদে পাশাপাশি দাঁড়ানোর কথা থাকলেও বাস্তবে কি তাই হয়? বাস্তবে তো দেখা যায়, গরিব-মিসকিন লোকটি সাহসই পায় না সামনের কাতারে বা কোনো বড়লোকের পাশে দাঁড়াতে। সব সময় পেছনে থাকাই যেন নিয়ম তার জন্য। আর এ নিয়ে কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। এটা বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যায় শহরের অভিজাত এলাকার মসজিদগুলোতে, যেখানে ছোট-বড়, উচ্চ-নিচ, ধনী-গরিবের মধ্যে বৈষম্যটা প্রকট। গ্রামীণ সমাজে অবশ্য এটা অনেক কম। সেখানে এখনো সমতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, সম্প্রীতি উঠে যায়নি। এর একটা কারণ, গ্রামের মানুষ একে অন্যের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ। সমাজও সেখানে যথেষ্ট যূথবদ্ধ। সেই সমাজে কেউ বড়লোক হয়ে গেলেও সমাজ থেকে ছিটকে পড়ে না। পারস্পরিক সম্পর্কও শেষ হয়ে যায় না। অবশ্য জায়গাজমি বা মাতব্বরি ইত্যাদি নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ থাকলে অন্য কথা।

ঈদের মত বড় উৎসব উদ্‌যাপনে সব সময় ধনী-গরিব সবারই প্রত্যাশা থাকে বড়। ঈদ উপলক্ষে একটা দিন একটু উন্নতমানের খাওয়াদাওয়া করতে, দামি কাপড়চোপড় পরতে, আমোদ-ফুর্তি করতে ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবারই মন চায়। কিন্তু সাধ আর সাধ্যের মধ্যে দুর্লঙ্ঘ ফারাক ঘুচিয়ে সব চাহিদা পূরণ করতে পারে না দরিদ্র শ্রেণীর মানুষেরা। বিশেষ করে দু’বেলা দুই মুঠো অন্ন জোগাতে যাদের হিমশিম খেতে হয়, তাদের জন্য ঈদের আনন্দ, ঈদের স্বপ্ন, দুঃস্বপ্ন হয়েই থেকে যায়। তারা বড়লোকদের দরজায় একটি জাকাতের কাপড় বা ফিতরার টাকার জন্য জীবন বাজি রেখে দাঁড়ায়। আর কখনো কখনো শত শত ভুখা-ফাকাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি-কাড়াকাড়িতে পদতলে পিষ্ট হয়ে জীবনের সব সাধ-আহ্লাদের সমাপ্তি টেনে বড় করুণভাবে মৃত্যুবরণ করে।

অথচ ঈদে নির্বন্ন-নিবস্ত্র মানুষগুলোর চাহিদা কী? খুব দামি কিছু কাপড়চোপড়? বত্রিশ ব্যঞ্জনের পানাহার? থলিভর্তি টাকা? না, ওসবের কিছুই না। ওরা জানে, এসব তাদের জন্য আকাশকুসুম কল্পনা। এগুলো তারা বোঝেও না। তাদের চাহিদা খুবই সীমিত। তারা চায়, শুধু ওই একটি দিন কারো অছিলায় দু’বেলা পেট পুরে খেতে—তা মাংস-পোলাও-খিচুড়ি, নিদেনপক্ষে সাধারণ মাছ-গোশ্ত যা-ই হোক, তা দিয়ে তৃপ্তির সঙ্গে উদরপূর্তি করতে। আর এবাড়ি-ওবাড়ি ঘুরে পরনের একটি কাপড় আর জাকাত বা ফিতরার দু’টো টাকা। ব্যস্, ওই পর্যন্তই। এদের বাপ-দাদাদের চাহিদাও ছিল এইটুকুই। হয়ত তাদের সন্তানের, তস্য সন্তানের, চাহিদাও থাকবে ওইটুকু। এরা জনমদুঃখী। দুঃখ-কষ্ট-অভাবের ভেতর এদের জন্ম, মৃত্যুও তাদের এভাবেই।

আচ্ছা, আসুন তো, এদের সঙ্গে ঈদের ‘মুড’ নিয়ে একটু ঠাট্টা-তামাশা করি। এই শোনো, তুমি কি জানো আমাদের দেশের মাথাপিছু আয় এখন কত? আর আমাদের প্রবৃদ্ধির হার কত? জানো না, না? জানবে কী করে। তুমি তো সারাদিন ব্যস্ত এপাড়ায়-ওপাড়ায় মুনিশ খাটতে, আর ঈদে-চান্দে জাকাতের শাড়ি-লুঙ্গি, আর ফিতরার টাকা জোগাড় করতে। তুমি কোনো খবরই রাখো না। তোমাকে দিয়ে কিস্সু হবে না। তুমি দেশের বোঝা। তুমি জানো শুধু অন্যের জমিতে কোদাল কোপাতে, হাল বাইতে। আর না হয় শহরে গিয়ে রিকশা চালাতে, ঠেলাগাড়ি ঠেলতে। এগুলো করে কি দেশের মাথাপিছু আয় আর প্রবৃদ্ধি বাড়বে? জানো এখন আমাদের মাথাপিছু আয় ১,৭০০ ডলার, মানে প্রায় দেড় লাখ টাকা। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা নদীর ওপর কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করে ব্রিজ বানাচ্ছি। এখন কি তোমার কোদাল কোপানো সাজে? তুমি কোনো কাজের না।… শুনে সে শুধু দাঁত কেলিয়ে হাসল। তারপর মাথা নিচু করে বলল, হুজুর আমারে একটা জাকাতের লুঙ্গি আর আমার পরিবাররে একটা শাড়ি দিবাইন? আপনারা না দিলে কে দিব। মুঠি পাকিয়ে বললাম, ভাগ ব্যাটা পরগাছা। তোদের খালি খাই খাই। তোদের জন্য ঈদ ফেস্টিভ্যালটাও এনজয় করার উপায় নেই। সে মুখটা ব্যাজার করে চলে গেল। আর আপনি আর আমি ‘চিয়ার্স’ বলে পানপাত্রটি তুলে নিলাম মুখের কাছে।

তিন.

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। একমাত্র রাজনীতি ও গণতন্ত্রের সূচক ছাড়া আর সব অর্থনৈতিক-সামাজিক সূচকে আমাদের উল্লম্ফন ঈর্ষণীয়। বিশ্বদরবারে সবাই আমাদের উন্নয়ন দেখে তালিয়া বাজাচ্ছে, বলছে, আমরা নাকি উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। সবই ঠিক, সবই মানলাম। কিন্তু আমাদের দেশের এই যে কোটি কোটি কটাই-মজর-আম্বর-জাবিদ, এই যে একাব্বর-তোকাব্বর-পীতাম্বর-বিশ্বম্ভর—এরা কোথায় আছে? এরা কি সারাজীবন জাকাতের শাড়ি-লুঙ্গির জন্য জান দেবে, হা-পিত্যেশ করবে হরিলুটের বাতাসার জন্য? আর আমাদের চটকদার ফতোয়া-নসিহত শুনবে? (ব্যাটা গাধাটা পার ক্যাপিটা ইনকাম আর জি ডি পি-র খবর রাখে না, এদের দিয়ে কী হবে এদেশের।) এই যে নতশির দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা মূঢ় ম্লান মুখের কোটি কোটি মানুষ—যাদের আমরা মানুষ মনে করি না, মনে করি আপদ, জঞ্জাল—তাদের মাথাপিছু আয় দিয়ে দু’বেলা দু’টো ডালভাত জোটে কি জোটে না, আর একই শহরের মুষ্টিমেয় কিছু লোকের হাতে জমেছে সম্পদের পাহাড়। শিল্প-কলকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যাংক-বীমা-পরিবহন, জমিজমা—সব কিছুর মালিক ওই ‘থিন মাইনরিটি’, অতি ক্ষুদ্র সংখ্যালঘিষ্ঠ কিছু মানুষ। দেশের শতকরা ৯৫ ভাগ সম্পদ ওই শতকরা ৫ ভাগ মানুষ কুক্ষিগত করে রেখেছে। তাদের কাছে বছরের সব দিনই ঈদের দিন। তাদের ঈদের শপিং হয় কলকাতা-দিল্লী-সিঙ্গাপুর-দুবাইয়ে। ঈদের দিনে এরা অতিথি আপ্যায়ন করে পাঁচতারা হোটেলের স্পেশাল অর্ডার দেওয়া খাবার দিয়ে। ঈদের ছুটিতে নিজেদের একটা ‘ব্রেক’ দিতে এরা দৌড়ায় সিঙ্গাপুর-কুয়ালালামপুরে, নিদেনপক্ষে কক্সবাজারে।

আর চৌদ্দ পুরুষে জিডিপি-পার ক্যাপিটা কাকে বলে না বুঝেও যারা দেশটাকে কাঁধে করে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের পর্বতশৃঙ্গে, তারা ঈদে ছোট শিশুটির ফুটপাতের লাল জামার বায়না মেটাতে ব্যর্থ হয়ে, বৌকে একটি সস্তা শাড়ি দিতে না পেরে এই জীবন এই জগত এই সংসার—সব কিছুর ওপর বিশ্বাস হারিয়ে এক অমোঘ পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাদের কাছে ঈদের দিন এবং অন্য কোনো দিনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এদের জীবনে ‘প্রায়োরিটি’ একটাই—ক্ষুণ্নিবারণ।

জীবনে তাদের যেমন কেবল হতাশা, কেবল শূন্যতা, তেমনি ঈদে আরো কিছু মানুষের গৃহভরা শুধু হাহাকার, শুধু কান্না। এই মানুষগুলোর রৌদ্রকরোজ্জ্বল জীবনে হঠাৎই নেমে এসেছে অমানিশার অন্ধকার। তাদের কারো পিতা, কারো পুত্র, কারো স্বামী অকস্মাৎ গুম হয়ে গেছে, আর না হয় প্রাণ দিয়েছে গুপ্তঘাতকের হাতে, অথবা তথাকথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’।

চার.

সারা রমযান মাস জুড়ে কত ভালো ভালো কথা, কত বয়ান শোনা গেল আলিম-উলেমাদের মুখে। ইসলাম ধর্মে ধনী-গরিবের সাম্যের কথা, গরিব সুবিধাবঞ্চিতদের প্রতি বিত্তশালীদের দায়িত্বের কথা, বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থার কথা। এসব বয়ান শুনে ক্ষণিকের জন্য হলেও মনটা নরম হয় সন্দেহ নেই, কুরআন-হাদিসের নির্দেশমতো চলার ইচ্ছে হয়, কিন্তু মসজিদ থেকে বেরিয়ে এসেই আবার যথা পূর্বং তথা পরং। আবার ব্যবসা-বাণিজ্যে দু’নম্বরি করা, ভেজাল মেশানো, ওজনে কম দেওয়া, কর্মস্থলে দুর্নীতি-ঘুষ ইত্যাদি চলতে থাকে। মাওলানা হুজুরদের এত হৃদয়গ্রাহী বয়ান মাঠে মারা যায়।

এরই ভেতর আসে ঈদ, আর তখনি সমাজে উচ্চবিত্ত-নিম্নবিত্তদের মধ্যে বিরাজমান বৈষম্য প্রকট হয়ে ওঠে। উচ্চবিত্তরা ঈদ উৎসব উদ্‌যাপনের জন্য উচ্চকিত হয়ে ওঠেন, পাল্লা দিয়ে লিপ্ত হন নানাবিধ বাহুল্য খরচপাতিতে। আর নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত দরিদ্র শ্রেণীর মানুষেরা পরিবারের ন্যূনতম চাহিদা মেটাতেই দিশেহারা হয়ে পড়েন। ফলে ঈদ হয়ে পড়ে বৈষম্যমূলক সমাজব্যবস্থার একটি প্রকাশ্য প্রদর্শনী। এ অবস্থার আকস্মিক পরিবর্তন যেমন আশা করা যায় না, তেমনি এর ক্রমাবনতিও হতে দেওয়া যায় না। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে একদিন এই সর্বহারার দল কবি রফিক আজাদের ভাষায় ‘ভাত দে হারামজাদা’ হুঙ্কার দিয়ে হয়ত পদ্মা সেতুই গিলে ফেলতে উদ্যত হবে।

সোজা কথায়, দারিদ্র্য এবং বৈষম্য দুষ্ট ক্ষতের মতো আমাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক সব উন্নয়নের গায়ে লেপ্টে থাকুক—সেটা নিশ্চয়ই কাম্য হতে পারে না। আর সে জন্য অন্তত ঈদের দিনটিতে সবার, সব শ্রেণীর মানুষের মুখে ফুটে উঠুক শাওয়ালের চাঁদের অনাবিল হাসি—এই প্রার্থনা করি।

লেখক : সাবেক সচিব, কবি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here