মঙ্গলবার বেলা পৌনে তিনটায় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে এ অভিযোগ তোলেন তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ‘গণমাধ্যম সূত্রে আমরা জানতে পারি যে সোমবার রাতে বিএনপির কিছু নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি অরাজকতা সৃষ্টির জন্য টেলিফোনে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে ফজলুল হক মিলন ও মেজর (অব.) মিজানের কণ্ঠ রয়েছে বলে আমরা বুঝতে পেরেছি। ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছিল।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, দেশের বাইরে থেকে কেউ কলকাঠি নাড়ছে এই নির্বাচনকে ঘিরে। এরই অংশ হিসেবে গত রাতে টেলিফোনে নির্দেশনা দেওয়া হয়।’

নওফেল আরও বলেন, সকাল থেকে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন শুরু হয়। মাঝ সময়ে এসে তাঁরা এ ধরনের নির্দেশনার কথা জানতে পারেন। বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এসব করছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, নৌকায় ব্যালট মারার যেসব ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, তা বিএনপির ষড়যন্ত্রেই হচ্ছে। এসব বিষয়ে ইসি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।

বিএনপি নির্বাচনে বিশ্বাস করে না উল্লেখ করে সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, নিজেদের রাজনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকার জন্য এসব করছে। ঢালাওভাবে অভিযোগ করছে। নেতা-কর্মীদের ধরে নেওয়া ও বের করে দেওয়ার নির্দিষ্ট সংখ্যা উল্লেখ করতে পারছে না তারা। তিনি আরও বলেন, ৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ বন্ধ আছে। এই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করার মতো অবস্থা এখনো তৈরি হয়নি।

নির্বাচন পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে আসা আওয়ামী লীগের এই প্রতিনিধিদলে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবির কাওসার এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here