রাশিয়া বিশ্বকাপে গোল পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে ব্রাজিলকে। গোলের প্রচুর সুযোগ তৈরি করলেও ফিনিশিং দুর্বলতায় তা গোলে রূপ নিচ্ছে না। গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে এমন চিত্রই দেখা গেছে সেলেকাও শিবিরে। সার্বিয়ার বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচ সামনে রেখে বিষয়টি ভাবিয়ে তোলে কোচ লিওনার্দো বাচ্চি তিতেকে। নকআউট পর্ব নিশ্চিত করার ম্যাচে শিষ্যদের কাছ থেকে নিখুঁত ফিনিশিং চান তিনি। আজ রাত ১২টায় সার্বিয়াকে মোকাবিলা করবে ব্রাজিল। একই সময়ে ‘ই’ গ্রুপের অপর খেলায় সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বিদায় নিশ্চিত হওয়া কোস্টারিকা। সার্বিয়া ম্যাচ সামনে রেখে গোলমুখে নেইমারদের শুটিং অনুশীলনে ব্যস্ত রাখেন তিতে। ম্যাচের আগে শেষ দুইটি ট্রেনিং সেশনেই তা বহাল থাকে। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ফিলিপ্পে কুটিনহোর গোলে এগিয়ে থেকেও ১-১ গোলে ড্র করে ব্রাজিল। কোস্টারিকার বিপক্ষে টুর্নামেন্টে টিকে থাকার ম্যাচে ৯০ মিনিটে জালের দেখা পায়নি পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়নরা। ২-০ গোলের নাটকীয় জয়ের দুইটি গোলই আসে ইনজুরি সময়ে। গোল দুইটি করেন কুটিনহো ও নেইমার। চলতি আসরে ম্যাচ প্রতি ১৪.৩ শটে একটি গোল পায় ব্রাজিল। কোস্টারিকার বিপক্ষে ৯০ মিনিটের খেলার আগে তা ছিল ৪১ শট! ম্যাচটিতে ব্রাজিলের একের পর এক আক্রমণ প্রতিহত করেন কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। সার্বিয়ার বিপক্ষে এর পুনরাবৃত্তি এড়াতে চায় ব্রাজিল। অনুশীলনে ম্যাচের পরিস্থিতির আদলে সম্ভাব্য সব পজিশন থেকে খেলোয়াড়দের গোল করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিতে। বক্সের বাইরে থেকে ক্রস, গোলরক্ষকের সঙ্গে ওয়ান-অন-ওয়ান পজিশন, কোনাকুনি শট, কৌশলগত মুভমেন্ট নিয়ে কাজ করে ব্রাজিল দল। চতুর্দিক থেকে গোলাবর্ষণ সামলান তিন গোলরক্ষক অ্যালিসন, এডারসন ও ক্যাসিও রামোস। শুধুমাত্র ফরোয়ার্ডরা নন- ডিফেন্ডার, মিডফিল্ডার, উইঙ্গার প্রত্যেকেই গোলমুখের সামনে নিজেদের ঝাঁলিয়ে নেন। অনুশীলনে তিতে তার খেলোয়াড়দের বলেন, সমস্যাটা যতটা টেকনিক্যাল তার চেয়ে বেশি মানসিক। ম্যাচ জয়ের চাপ ফিনিশিংয়ে প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন তিতে। নেইমার শতভাগ ফিট আছেন বলে সমর্থকদের আশ্বস্ত করেন ব্রাজিল দলের ডাক্তার রদ্রিগো লাসমার। তিনি বলেন, ‘নেইমারের পা অথবা গোড়ালিতে নতুন করে কোনো সমস্যা নেই। সে কোনো অস্বস্তি বোধ করছে না। তাকে নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন নই। নেইমার শতভাগ ফিট।’ দুই ম্যাচ শেষে এক জয় ও এক ড্রয়ে ব্রাজিল ও সুইজারল্যান্ডের সমান চার পয়েন্ট। তিন পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে সার্বিয়া। দুই ম্যাচেই হার দেখে কোস্টারিকা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here