আজ রোববার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো.মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ এ দিন ধার্য বরেন। রুল শুনানির বিষয়ে দিন ধার্যের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য ব্যারিস্টার এহসানুর রহমান। সেইসঙ্গে বিচারিক অাদালতের সাজার বিরুদ্ধে অাসামি কাজী সলিমুল হক ও শরফুদ্দিনের করা অাবেদনের শুনানিও একইসঙ্গ হবে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার এহসান।

এর আগে সাজা বাড়ানোর বিষয়ে দুদকের আবেদনের শুনানি করে হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলেন ২৯ মার্চ। রুলে তাকে নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা কেন বাড়ানো হবে না তা জানতে চাওয়া হয়। সে সময় শুনানিতে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দিয়েছে বিশেষ আদালত। আর সহযোগী আসামিদের দিয়েছে দশ বছরের কারাদন্ড। আইনের দৃষ্টিতে এই দ- প্রদান অসঙ্গতিপূর্ণ ও বৈষম্যমূলক। সকল আসামিকে একই পরিমাণ সাজা দিলে আমাদের সংক্ষুব্ধ হওয়ার কোনো কারণ ছিলো না। তাই সাজা বাড়ানোর আবেদন করা হয়েছে।

অন্যদিকে খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ শুনানিতে বলেন, দুদক একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান। রাজনৈতিক বিবেচনায় তারা কারো বিরুদ্ধে কিছু করতে পারে না। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, দুদক সেটা করেছে। দুদকের আইন অনুযায়ী নিম্ন আদালতের দেওয়া সাজা বাড়াতে দুদক রিভিশন আবেদন করতে পারে না। নিম্ন আদালতের সাজার ব্যাপারে তাদের সংক্ষুব্ধ হওয়ার কিছু নেই। দুদক ভুল পথে এসেছে। তাই এই আবেদন দুদক প্রত্যাহার করে নিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।

তার আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদার সাজা বাড়ানোর জন্য ২৫ মার্চ আপিল আবেদন দায়ের করা হয় দুদকের পক্ষ থেকে। ১৯ মার্চ দুর্নীতি দমন কমিশনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হওয়ার পরই আপিল করা হয়। খালেদার সাজা বাড়িয়ে কত বছর চাওয়া হয়েছে জানতে চাইলে খুরশিদ আলম খান বলেন, আইনে ৪০৯ ধারা অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন হওয়ার বিধান রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদন্ড দেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়। রায়ের পর থেকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here