প্রতিবেদনে জানানো হয়, রেমিটেন্সের এই অংক বাংলাদেশের ইতিহাসে আসা এক অর্থবছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ১৫ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি, স্থানীয় বাজারে ডলারের তেজিভাব এবং হুন্ডি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে রেমিটেন্সের হার দিনদিন বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২০১৭-১৮ অর্থবছর শেষে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছে দেশে। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে দেশে এসেছিল ১ হাজার ২৭৭ কোটি ডলার রেমিটেন্স।

সূত্র জানিয়েছে, রোজা এবং ঈদকে সামনে রেখে অর্থবছরের শেষ দুই মাস মে ও জুনে বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। মে মাসে এসেছিল ১৪৮ কোটি ১৮ ডলার। দেশে মূলত মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি দেশ থেকে রেমিটেন্স বেশি আসে। দেশগুলো হলো- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, কুয়েত ও বাহরাইন। এছাড়া গত জুনে দেশে ১৩৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছে ৩৩ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। বিশেষায়িত দুটি ব্যাংকের মাধ্যমে এক কোটি ২৫ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০১ কোটি ৮৪ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১ কোটি ১৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। জুনেও বরাবরের মতোই বেসরকারি ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here