কমিশন সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের মাধ্যমে জিসিসি আওতাভুক্ত নতুন এলাকার বিভিন্ন অবকাঠামোগত সুবিধা সম্প্রসারণ করা হবে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৬০ কোটি ৮১ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার (জিওবি) থেকে বরাদ্দ দেয়া হবে ৫২৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, আর জিসিসি থেকে বরাদ্দ দেয়া হবে ১৩২ কোটি ১৬ লাখ টাকা। প্রকল্পটির অনুমোদন পেলে জিসিসি কর্তৃপক্ষ ২০২০ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করবে।

প্রকল্প প্রস্তাবনা অনুসারে বরাদ্দের অর্থ দিয়ে সব এলাকায় নতুন পাকা সড়ক নির্মাণ ও বিদ্যমান সড়ক প্রশস্ত করা হবে। এতে যানজট কমে আসবে। এ ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন করে ড্রেন নির্মাণ এবং বিদ্যমান ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংস্কার করা হবে।
জিসিসি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সীমানা আয়তনে জিসিসি দেশের সবচেয়ে বড় সিটি কর্পোরেশন। ভোটার সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ ২৬ হাজার। গুরুত্বের দিক থেকে দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের চেয়ে গাজীপুর কম নয়। তবে উন্নয়নে কিছুটা পিছিয়ে জিসিসি।

২০১৩ সালে গাজীপুর, টঙ্গী পৌরসভা ও ছয়টি ইউনিয়ন (কাশিমপুর, কোনাবাড়ি, বাশন, কাউলতিয়া, গাছা ও পূবাইল) নিয়ে সিটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়। সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হওয়া ছয়টি ইউনিয়ন (প্রায় ৮৫ বর্গকিলোমিটার) পশ্চাৎপদ ও অনুন্নত। এসব এলাকার বেশিরভাগ রাস্তা কাঁচা। এ ছাড়া সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যমান পাকা সড়কগুলোর প্রশস্ততা কম হওয়ায় যানজট লেগেই থাকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here