২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোলা-১ ও ২ আসনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোটের প্রার্থী ছিলেন বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ ও তার ছোট ভাই ড. আশিকুর রহমান শান্ত। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে ভাইয়ের সঙ্গে মতবিরোধে দল ছাড়েন ড. আশিকুর রহমান শান্ত। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-১ আসনটি এবার বিজেপিকে ছেড়ে দিতে নারাজ স্থানীয় বিএনপি। তারা বলছে, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে স্থানীয় বিএনপির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ বা সমন্বয় নেই ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থর।তবে এ অভিযাগ অস্বীকার করেছেন ব্যারিস্টার পার্থ।

ভোলা-১ আসনে এবার বিএনপির মনোননয় চান সাবেক পৌর মেয়র ও বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর। আন্দালিভ রহমান পার্থ প্রথমবার বাবা প্রয়াত মন্ত্রী নাজিউর রহমান মঞ্জুর নামের কারনে উতরে গেলেও আসন্ন নির্বাচনে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। এছাড়া স্থানীয় নির্বাচনের ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করা সাবেক মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন শাজাহানের পরিবারের সঙ্গে পার্থর তুমুল বিরোধ রয়েছে। মোশাররফ হোসেন শাজাহান দীর্ঘদিন ধরে ভোলা-১ আসনের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এছাড়া পারিবারিক ঐতিহ্যের কারনে প্রভাবশালী এ পরিবারের সমর্থন নির্বাচনে বড়ো ফ্যাক্টর ছিল সবসময়ই। বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদও কখনো মোশাররফ হোসেন শাজাহানের কাছে জয়ী হতে পারেননি।

আসন্ন নির্বাচনে ভোলা-১ আসনটি জোটগতভাবে বিজেপিকে ছেড়ে দেয়া হলেও নির্বাচনের মাঠে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়বেন বিজেপির চেয়ারম্যান তুখোড় বক্তা ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ। বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীরসহ অন্যান্য বিএনপি নেতারা তাকে অসহযোগিতা করলে নির্বাচনী বৈতরণী পাড় হওয়া প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার হয়ে দাড়াবে। আর এ কারনেই হয়তো ভোলা-১ আসন থেকে আবারও নির্বাচনে অংশ নিতে চান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থ জানিয়েছেন, স্থানীয় বিএনপির সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, যুবদল, ছাত্রদলসহ সকল অঙ্গসংগঠনের সঙ্গে তার নিবিড় যোগাযোগ রয়েছে। জেলা সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর সংসদ সদস্য হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও তিনি গত পৌরসভা নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।

গোলাম নবী আলমগীর বলেন, আমরা এখানে বিএনপি দলীয় প্রার্থী চাই। এখানে আগের মতো ছাড় দিলে সংগঠন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। বিএনপি নির্বাচনে গেলে কিংবা নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনে দলীয় রেজুলেশন নিয়ে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। আমরা এখানে বিএনপির বাইরে অন্য কোনো প্রার্থী মেনে নেবো না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here